কলকাতা : আজ মঙ্গলবার। এদিন হনুমানজির পুজো করেন বহু মানুষ। বজরঙ্গবলীর আরেক নাম সঙ্কটমোচন। বিশ্বাস করা হয়, তিনি ভক্তের সব সঙ্কট দূর করেন। পুরাণ অনুসারে, হনুমান অমরত্ব লাভ করেছিলেন। তাই ভক্তের বিশ্বাস, তিনি মর্ত্যলোকেই আছেন। তাই তাঁর কানে ভক্তের আর্তি পৌঁছায় দ্রুত। তিনিও হাত বাড়িয়ে দেন তাঁদের সঙ্কট থেকে উদ্ধার করতে। 


মানুষের জীবনে বহু সময় আসে, যখন একের পর এক সমস্যা ঘিরে ধরে। তখন অনেকটাই মুক্তির পথ দেখায় হনুমানজীর আরাধনা। ভক্তদের অনেকেরই মত, হনুমানজীর চালিশা পাঠ প্রবল শক্তির সঞ্চার করে মনে। বিশ্বাস রাখতে পারলে হনুমানজির মতো বন্ধু, পথপ্রদর্শক, ত্রাতা কেউ হয় না।  তাই তো হনুমান চালিশায় বলে হয়েছে,  সংকট তে হনুমান ছুড়াবে | মন ক্রম বচন ধ্যান জো লাবে || 


হনুমানজির পুজোর জন্য জ্যৈষ্ঠ মাস বিশেষ গুরুত্ববহ। মনে করা হয়, এই মাসেই প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিল শ্রীরাম ও ভক্ত হনুমানের। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, শ্রীরাম শ্রী বিষ্ণুর অবতার ও হনুমান রুদ্রাবতার। যাঁর জন্মই শ্রীরামকে সাহায্য করতে। বিশ্বাস করা হয় যে জ্যেষ্ঠ মাসে ভগবান হনুমানের পূজা করলে রোগ, কষ্ট, দোষ ও ভয়ের অবসান হয়। 


জ্যৈষ্ঠ মাসের  প্রতি মঙ্গলবারকে বলা হয় বড় মঙ্গল।  এই মাসটি হনুমানজির প্রিয় মাস বলা হয়। বাংলা ক্যালেন্ডার অনুসারে ১৫ মে থেকে শুরু হচ্ছে জ্যৈষ্ঠ মাস। এরপর প্রতিটি মঙ্গলবার হনুমানজীকে পুজো অর্পণ করলে সঙ্কট থেকে মুক্তি মিলতে পারে। সেই সঙ্গে মনে মনে সব সময় ভয়ে-ভয়ে থাকা থেকে রেহাই মিলতে পারে। কারণ অসীম শক্তির অধিকারী হনুমান তাঁর ভক্তদের মধ্যেও শক্তির সঞ্চার করেন। 


কীভাবে মঙ্গলবার হনুমানজির পুজো করবেন ? 



  • জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে, ঘরে হনুমানের পঞ্চমুখী ছবি রাখলে পরিবারের সকলের সমস্যা দূর হয়। বজরঙ্গবলীকে স্মরণ করলেই সকল প্রকার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। অনেকেই মনে করেন, বাড়িতে পঞ্চমুখী হনুমানের ছবি রাখা ঠিক কি না। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এতে কোনও ভুল তো নেই-ই, বরং গৃহস্থের কল্যাণে ঘরে রাখা দরকার হনুমানের পঞ্চমুখী ছবি। 

  • প্রতি মঙ্গলবার হনুমানজিকে ফল ও লাড্ডু দিয়ে পুজো করুন।

  • লাল ফুল ও সিঁদুর অর্পণ করুন। 

  • হনুমান চালিশা পাঠ করুন। 

  • সত্যাচরণ করুন। 


  • ডিসক্লেমার :  এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে bengali.abplive.com-এর সম্পাদকীয় স্তরে এ ব্যাপারে কোনও মতামত নেই এবং অনুসরণের জন্য এবিপি নেটওয়ার্ক পরামর্শও দেয় না। কোনো তথ্য বা বিশ্বাস বাস্তবায়নের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অবশ্যই নিন।