নয়া দিল্লি : ৭০ বছরের বেশি সময় অতিক্রান্ত । ঔপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে এসেছে ভারত। স্বাধীনতার পর এতগুলি বছর কাটিয়ে ভারত নিজের আদর্শ ধরে রাখতে সক্ষম। কী সেই আদর্শ ? এমন একটা সমাজ যেখানে সব ধর্মের মানুষ একসঙ্গে বসবাস করতে পারবেন এবং স্বাধীনভাবে ধর্মচর্চা করতে পারবেন।

  


ভারতে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষের বাস। বছরের পর বছর ধরে এদেশে মিলেমিশে বাস করছেন তাঁরা। বিশ্বের অধিকাংশ হিন্দু, জৈন বা শিখ ভারতে বসবাস করেন তা-ই নয়, বিশ্বের যেসব দেশে বৃহৎ সংখ্যক মুসলিমের বসবাস, তার মধ্যে ভারত অন্যতম। এর পাশাপাশি রয়েছেন লক্ষ লক্ষ খ্রিশ্চান ও বৌদ্ধরা।


এনিয়ে সম্প্রতি একটি গবেষণা চালায় নতুন Pew Research Center। ২০১৯ সালের শেষ দিক থেকে ২০২০-র গোড়ার দিক পর্যন্ত (করোনা অতিমারির আগে) ১৭ টি ভাষায় প্রায় ৩০ হাজার মানুষের মুখোমুখি সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। এইসব ধর্মের মানুষরা জানিয়েছেন, স্বাধীনভাবে তাঁরা নিজেদের বিশ্বাস মেনে চলতে পারেন।


ভারতীয়দের মতে, ধর্মীয় সহিষ্ণুতাই আসল। এই বিষয়টিই ভারতীয়দের মহত্ব তুলে ধরে। অধিকাংশ ধর্মের অধিকাংশ মানুষ জানিয়েছেন, সব ধর্মকে সম্মান জানানোটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবেই প্রকৃত ভারতীয় হয়ে ওঠা যাবে। সহিষ্ণুতার ধর্মীয় ও নাগরিক মান আছে। ভারতীয়রা এবিষয়ে একমত যে, অন্যদের ধর্মকে সম্মান জানানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ । 


ভারতে প্রায় ৭৭ শতাংশ হিন্দু কর্ময় বিশ্বাস করেন। প্রায় একই সংখ্যক মুসলিমেরও তাই মত। ভারতের এক তৃতীয়াংশ খ্রিশ্চান ৮১ শতাংশ হিন্দুর মতোই বিশ্বাস করেন, গঙ্গা নদীর বিশুদ্ধকরণ ক্ষমতা আছে। উত্তর ভারতে ১২ শতাংশ হিন্দু, ১০ শতাংশ শিখ ও ৩৭ শতাংশ মুসলিম সুফিবাদের সঙ্গে নিজেদের আইডেনটিটি খুঁজে পান। এছাড়া বিভিন্ন ধর্মের অধিকাংশ ভারতীয়ই জানিয়েছেন, তাঁদের ধর্মে বড়দের সম্মান করার কথা বলা আছে। তবে সমীক্ষায় দেখা গেছে, নিজেদের ধর্মীয় বৃত্তের মধ্যেই অধিকাংশ ভারতীয় বন্ধু নির্বাচন করেছেন।