ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: দেবী মূর্তি পুজোর চল নেই তারাপীঠে (JagaddhatriPuja2023 in Tarapith) । সব দেবী মূর্তির পুজো করা হয় মা তারাকে সামনে রেখে। তাই মা তারাকে জগদ্ধাত্রী রূপে পুজো করা হয়। মঙ্গলবার ছিল জগদ্ধাত্রী পুজোর নবমী। এদিন মা তারাকে জগদ্ধাত্রী রূপে পুজো করা হয়।


বিকেলে মা তারাকে জগদ্ধাত্রী রূপে সাজানো হয়েছে। একদিনেই সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী পুজো করা হয়। মা তারাকে রাজ রাজেশ্বরী রূপে সাজানো হয়। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ তারাপীঠ মন্দিরে ভিড় জমান। এদিন মা তারাকে জগদ্ধাত্রী রূপে পুজো করা হচ্ছে। এ দিন সন্ধ্যায় মায়ের বিশেষ ভোগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বলির পাঁঠার মাংস, মাছ, পোলাও, পাঁচ রকম সবজি, পোলাও, খিচুড়ি দিয়ে মায়ের ভোগ দেওয়া হয়। বিশেষ আরতি হয়। জগদ্ধাত্রী উপলক্ষে মন্দির রকমারি আলোয় সাজানো হয়। 


দুর্গা নবমীর প্রায় মাসখানেক পর এই উৎসব পালিত হয়। এটি একটি চার দিনব্যাপী উত্‍সব যেখানে উত্‍সবটি পূর্ণ উত্‍সাহের সাথে জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপিত হয়। জগদ্ধাত্রী পুজো কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী থেকে দশমী পর্যন্ত পালিত হয়। সারদাপীঠে নবমী তিথিতে তিন প্রহরে সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমীর পুজো হয়৷ সারাদিন চলে পুজো। ১৯৪১ সালে বেলুড়ের সারদা পীঠে জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, দেবী জগদ্ধাত্রী দেবী ত্রিনয়না, চতুর্ভুজা ও সিংহবাহিনী। তাঁর হাতে শঙ্খ, চক্র, ধনুক ও বাণ, গলায় নাগযজ্ঞোপবীত। চন্দননগরে দুর্গাপুজোর মতো ষষ্ঠী থেকে শুরু হয় পুজো। কোথাও কোথাও সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত পুজো হয়। আবার কোথাও নবমীর দিনই তিনপ্রহরের পুজো সম্পন্ন হয়।


প্রসঙ্গত, বীরভূম জেলায় এই মুহূর্তে চলছে আরও একাধিক জগদ্ধাত্রী পুজো। কথিত আছে, মায়ের কাছে যে যা চাই মা তাঁর ইচ্ছেপূরণ হয়। গ্রামে সমৃদ্ধি ফেরাতে দেবতার শরণাপন্ন হয়েছিলেন গ্রামের রায় পরিবার। শুরু করেছিলেন জগদ্ধাত্রী পুজো (Jagaddhatri Puja 2023)।  পুজো শুরুর পর গ্রামে ফিরেছে শান্তি ও সমৃদ্ধি বলে দাবি করা হয়।  ফলে সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষকে নিয়ে এবারও জগদ্ধাত্রী পুজোয় মাতলেন বীরভূমের রামপুরহাট থানার দেখুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দারা।


আরও পড়ুন, দেখতে দেখতে প্রায় ৪৫০ বছর , দ্বারকা নদীর জল ভরে জগদ্ধাত্রী পুজো বীরভূমে


পুজো শুরুর নির্দিষ্ট দিনক্ষণ বলতে না পারলেও, গ্রামবাসীদের দাবি, প্রায় ৪৫০ বছর আগে গ্রামের রায় পরিবারের ইষ্টদেবতা হিসাবে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু করেছিলেন।  মায়ের নিত্যপুজোর জন্য গ্রামে নিয়ে আসা হয়েছিল ভট্টাচার্য পরিবারকে।  তাদের দৌহিত্ররা আজও বংশ পরম্পরায়  পুজো চালিয়ে আসছেন।