সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: আজ বেলা পর্যন্ত থাকছে অমাবস্যা (Amavasya)। কলকাতা (Kolkata) থেকে জেলা, বিভিন্ন জায়গায় চলছে কালীপুজো (Kalipujo)। ঠনঠনিয়া কালী মন্দিরে (Thanthania Kali Mandir) ভক্তদের ভিড়। মাতৃসাধক শঙ্কর ঘোষ প্রতিষ্ঠা করেন এই মন্দির। ১৭০৩ সালে এই মন্দিরে পুজো শুরু হয়।
জনশ্রুতি, ঠনঠনিয়া কালী মন্দিরে আসতেন শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস। প্রতি অমাবস্যায় বিশেষ পুজো হয় ঠনঠনিয়া কালী মন্দিরে। এখানে দেবীমূর্তি জাগ্রত বলে মনে করেন ভক্তরা। তাই সিদ্ধেশ্বরী কালী মাকে দর্শন করতে দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই ছুটে আসেন ঠনঠনিয়া কালী মন্দিরে।
এদিকে, তারাপীঠে কালীপুজোর পরের দিনও পুজো দিতে ভক্তদের ভিড়। সকালে মঙ্গলারতি হয়। এরপর নিত্যদিনের মতোই ভোগ নিবেদন। তারাপীঠে তারা মায়ের আরাধনা হয় তন্ত্রমতে। কথিত আছে, একবার দেবীর মাতৃরূপ দর্শন চান বশিষ্ঠ মুনি। দেবীও নিরাশ করেননি। মাতৃরূপে দর্শন দেন দেবী। এখানেই তপস্যা করে সিদ্ধিলাভ করেন তারামায়ের ভক্ত বামাক্ষ্যাপা। ফলে তারাপীঠ সিদ্ধ পীঠ হিসেবেও পরিচিত।
আরও পড়ুন, শনিবারে সাড়ে সাতির প্রভাব, কোন উপায়ে কাটবে গ্রহদোষ?
অন্যদিকে, কালীপুজোর পরের দিনও অসমের গুয়াহাটির কামাখ্যা মন্দিরে পুজো দিচ্ছেন ভক্তরা। সকালে মঙ্গলারতির পর নিত্যভোগের আয়োজন। গতকাল কালীপুজোর দিন কামাখ্যা মন্দিরে ভিড় উপচে পড়ে। ১৬৬৫ সালে কোচবিহারের মহারাজা নরনারায়ণ নীলাচল পাহাড়ের কোলে এই মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। একান্ন পীঠের অন্যতম কামাখ্যায় মায়ের যোনি পড়েছিল বলে কথিত আছে। মা এখানে দশমহাবিদ্যা রূপে পূজিত হন। জনশ্রুতি রয়েছে, বশিষ্ঠ মুনি এক সময় এই কামাখ্যাতে যজ্ঞ করেছিলেন।
এছাড়াও দুর্গাপুরের বেনাচিতিতে কালী মন্দিরে পুজো দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই ক্লাবের বিবাদে ধুন্ধুমার। বাঁশ-লাঠি নিয়ে একে অন্যকে মারধর, চলে ইটবৃষ্টি। ইটের ঘায়ে জখম হন এক পুলিশ কর্মী-সহ কয়েকজন। এরপর ঘটনাস্থলে গিয়ে ধরপাকড় শুরু করে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। দু’পক্ষের ৭ জনকে আটক করা হয়।