কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো৷ তিনি সমৃদ্ধির দেবী৷ তাই তাঁকে তুষ্ট করতে কোনও ক্রুটিই রাখতে চায়না বাঙালি৷ নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে উচ্চবিত্ত, মা লক্ষ্মীর আসন পাতা সকলেরই ঘরে৷ কেমন ভাবে সাজাবেন সেদিন মা লক্ষ্মীর পুজোর স্থান, কী করবেন , কী করবেন না, এই নিয়ে নানা বিশ্বাস। এক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মানতে পারলে ভাল। 



দীপাবলি পূজার করণীয়



  • অনেকে মনে করেন, উত্তর-পূর্ব কোণে মা লক্ষ্মীর বেদি  প্রতিষ্ঠা করা শুভ। মূর্তি স্থাপন করুন অবশ্যই পূর্ব দিকে মুখ করে। পুরোহিতের আসনে যিনি বসবেন, তিনি যেন উত্তর দিকে পিঠ করে বসেন। 

  • মা লক্ষ্মী নোংরা পছন্দ করেন না। ঘরদোর পরিপাটি করে রাখুন। পরিষ্কার রাখুন ঘর। ভালভাবে আলো জ্বালিয়ে রাখুন। 

  • দেবী লক্ষ্মী সমৃদ্ধির দেবী। তাই তাঁর সামনে ধান, পয়সা, কড়ি, সোনা বা রুপোর কয়েন সম্ভব হলে, সাজিয়ে দিন। 

  • আপনি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকলে, ব্যবসা সংক্রান্ত হিসেবের খাতা-পত্র দেবীর সামনে রাখুন।

  •  বাড়িতে সাফল্য, অর্থ এবং সুখ আনতে, সদর দরজার উভয় পাশে মাঙ্গলিক কলশ স্থাপন করুন।  তার উপর ডাব রাখুন। 

  • মেঝেতে মূর্তি স্থাপন করবেন না। পরিষ্কার কাপড় পাতুন  টেবিল বা বেদি বা চৌকির উপর। পারলে লাল কাপড় বিছিয়ে দেবীকে স্থাপন করুন।

  •  লাল কাপড়ের মাঝখানে কয়েক মুঠো ধান সাজিয়ে দিন। তারপর পরিষ্কার জল দিয়ে দেবীর ছবি মুছে রাখুন। 

  • এদিন ঠাকুর ঘরে বাসি ফুল রাখবেন না। 

  • লক্ষ্মী পুজোর দিন বাড়িতে আমিষ জাতীয় খাবার খাবেন না ।  লক্ষ্মীপুজোর উপোস রাখলে, উপবাস ভাঙার পরও নেশার জিনিস গ্রহণ করবেন না। 

  • অ্যালকোহল গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন।

  • বিশ্বাস করা হয় যে দেবী লক্ষ্মী জোরে আওয়াজ পছন্দ করেন না। তাই অপ্রয়োজনীয় আওয়াজ, চিৎকার, ঝগড়া থেকে বিরত থাকুন।  

  • পুজোর দিন কখনও ঋণ নেবেন না বা টাকা ধার করবেন না।

  • সূর্যাস্তের পর কখনো কাউকে দেবেন না। 

  •  পুজোর স্থানটিকে সারা রাত অযত্নে ফেলে রাখবেন না। সারা রাত প্রদীপ জ্বালান । তাতে নিয়মিত ঘি বা তেল দিয়ে রাখুন, যাতে প্রদীপ না নিভে যায়।  

    কোজাগরি শব্দের আক্ষরিক অর্থ কে জেগে আছে? রাতে জেগে থেকে দেবীর আরধানা করাই রীতি। কথিত আছে, এদিন মর্ত্যে নেমে এসে দেবী লক্ষ্মী ভক্তদের আর্শীবাদ করেন। গৃহিণীরা নিজেরাই পুজো করতে পারেন৷ দেবী লক্ষ্মীর আরাধনায় শ্বেতপদ্ম-শ্বেতচন্দন বিশেষ প্রয়োজন। ফল-মূলের পাশাপাশি চিড়ে নারকেল ছাড়াও লক্ষ্মীপুজো ভাবাই যায় না। একে বলা হয় চিপিটক৷ দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা শেষে সারারাত জেগে পাশা খেলার রীতিও বহুল প্রচলিত।  

    ডিসক্লেমার: এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে এবিপি লাইভ কোনও ধরনের বিশ্বাস, তথ্য সমর্থন করে না। কোন তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

    আরও পড়ুন :                                             


    কেন বলা হয় কোজাগরী পূর্ণিমা? কী মন্ত্রে তুষ্ট করবেন দেবী লক্ষ্মীকে ?