কলকাতা : 'রণে-বনে-জলে-জঙ্গলে যখনই বিপদে পড়িবে, আমাকে স্মরণ করিও, আমিই রক্ষা করিব। ' 


তিরোধান দিবস


লোকনাথ বাবার এই বাণীর উপর আস্থা রেখে বহু মানুষ কঠিন পরীক্ষা পার হয়। জীবন যখনই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়, তখন পথ দেখান বাবা লোকনাথ, এমনটা বিশ্বাস অনেকেরই। তাঁর তিরোধান দিবস এ বছর পড়েছে ১৯ জ্যৈষ্ঠ পড়েছে। ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুসারে ২ জুন,  অর্থাৎ রবিবার।  


১৬০ বছরে তিরোধান


১২৯৭ বঙ্গাব্দের ১৯ জ্যৈষ্ঠ  তিনি তার দেহত্যাগের কথা ঘোষণা করে দেন। ঠিক সেই দিনই বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের বারদী আশ্রমে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। ভক্তদের বিশ্বাস এসময় তার বয়স ছিল ১৬০ বছর। তাঁর এই মহাকাল প্রয়াণের দিনটিকে ভক্তি এবং শ্রদ্ধার মধ্য দিয়ে স্মরণ করা হয়। ঘরে ঘরে লোকনাথ ভক্তরা পুজো করেন।   ১৯ জ্যৈষ্ঠ বিভিন্ন  মন্দিরে লোকনাথ ব্রহ্মচারীর তিরোধান উৎসব ও মেলার আয়োজন হয়। 


ভক্তদের পাশে কীভাবে থেকেছেন তিনি


তিনি ভক্তদের মনে সবসময় ভরসা জুগিয়েছেন, 'তুমি কখনো একা নও. আমি সর্বদা তোমার সঙ্গে আছি। এই সত্যটি কখনওই ভুলে যেও না। আমি চিরকাল তোমার মধ্যে উপস্থিত। আমি আপনার সঙ্গে উত্তরোত্তর জন্য থাকব।' 


লোকনাথ ব্রহ্মচারীর জন্ম


শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারীর জন্ম বাংলার ১১৩৭ সালে, ভাদ্র মাসে । পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাটের চৌরাশি চাকলার অন্তর্গত কচুয়া গ্রামে তাঁর জন্ম। তিন সন্তানের পর মায়ের কোল আলো করেন লোকনাথ। তার বাবা রামনারায়ণ ঘোষাল।  তিনি চেয়েছিলেন তাঁর এক সন্তান ব্রহ্মচারী হোক। ১১ বছর বয়সে পৈতে হয় লোকনাথ এবং তার বন্ধু বেণীমাধবের।  তখন থেকে তাঁরা আচার্য গঙ্গোপাধ্যায়ের শিষ্যত্ব লাভ করেন। ১১৪৮ সালে এই আচার্য গঙ্গোপাধ্যায় তাঁদের নিয়ে আসেন কালীঘাটে। সেখানেই শুরু হয় সাধন-ভজন। সেখানে নাকি দুই জনই  দীর্ঘ ৩০-৪০ বছর একবারই খেয়ে থাকতেন।  ভক্তদের বিশ্বাস পঞ্চাশ বছর ধরে কঠিন তপস্যা করে লোকনাথ সাধনায় সিদ্ধিলাভ করেন  ৯০ বছর বয়সে।  


আরও পড়ুন : 


জুনে বড় পরিবর্তন গ্রহ-নক্ষত্রের, ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স উপচে পড়তে পারে ৪ রাশির, মা লক্ষ্মী কাদের সঙ্গে? 


তথ্যসূত্র : বারদী আশ্রম প্রকাশিত- চিরন্তন লোকনাথ 


ডিসক্লেমার :  এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে bengali.abplive.com-এর সম্পাদকীয় স্তরে এ ব্যাপারে কোনও মতামত নেই এবং অনুসরণের জন্য এবিপি নেটওয়ার্ক পরামর্শও দেয় না। কোনো তথ্য বা বিশ্বাস বাস্তবায়নের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অবশ্যই নিন।