পুরী : আতঙ্কে জগন্নাথ ভক্তরা। অতীতে এসেছে একাধিক ঘূর্ণিঝড়। সমুদ্র হয়েছে উত্তাল। পুরী শহরকে তছনছ করেছে প্রকৃতি। কোণার্ক মন্দির হয়েছে ছত্রভঙ্গ। কিন্তু জগন্নাথ মন্দিরকে ছুঁতে পারেনি প্রকৃতির উদ্দামতা। এবার সেই জগন্নাথ মন্দিরের পরিখাতেই ধরেছে গভীর ফাটল। 


ইন্ডিয়া টুডে তে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে, ওড়িশার পুরী জগন্নাথ মন্দিরকে বেষ্টন করে আছে বিরাট এক প্রাচীর।  সেই পাঁচিলেই দেখা গিয়েছে একাধিক ফাটল।  এই প্রাচীর ক্ষতিগ্রস্থ হলে বড় বিপদ ঘটতে পারে। প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে মূল মন্দিরের নিরাপত্তা। একটি নয়, একাধিক ফাটল চোখে পড়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষের। আর তা সঙ্গে-সঙ্গে জানানো হয়েছে ওড়িশা সরকারকে। মন্দির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। তারা মেরামতির জন্য আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার সহায়তা চেয়েছে।


জানা গিয়েছে, পুরীর মন্দিরের মহাপ্রসাদ পাওয়া যায় যেখান থেকে, সেই আনন্দবাজারের বর্জ্য জল পাঁচিলকে দুর্বল করছে।  প্রায় ১২০০ বছরের পুরনো কাঠামো এটি। দীর্ঘদিন ধরে পাঁচিল বর্জ্য জলের সংস্পর্শে আসতে আসতেই পাঁচিলের গায়ে চিড় দেখা যাচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে। এছাড়া শেত্তলাও পড়েছে পরতে পরতে।  তার ফলে পাঁচিল বেশি করে দুর্বল হচ্ছে। 


বিশেষজ্ঞরা এবং মন্দির কর্তৃপক্ষ পাঁচিলের ওপর তৈরি হওয়া ফাটলের দাগ গুলো নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মন্দিরটিকে সুরক্ষিত রেখেছে এই সুউচ্চ পরিখা । শেত্তলা বাড়তে বাড়তে এই ফাটল বেড়ে থাকতে পারে। আর এই পাঁচিলের ক্ষতি মানে মন্দিরের নিরাপত্তা নিয়েও সমস্যা হতে পারে। রাজ্য সরকার এবং মন্দির প্রশাসন যৌথ ভাবে মন্দিরের সুরক্ষার্থে কাজ করতে পারে। 


রাজ্যের আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন জানান, কেন চিড় ধরছে সেই কারণটা আগে খুঁজে বের করা দরকার। সেই বিষয়টাই খতিয়ে দেখছে এএসআই। তারা একদিকে যেমন কারণ অনুসন্ধান করছে, তেমনই এগুলি দ্রুত সারানোর চেষ্টা করছে ।  মন্ত্রী আরও বলেন, এএসআই-এর তত্ত্বাবধানে দেওয়ালগুলি দ্রুত মেরামত করাই প্রাথমিক উদ্দেশ্য। তারপর কী কারণে এরকম ফাটল আসছে তা অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 


এদিকে মন্দিরের প্রাচীরের গায়ের ফাটলগুলি চিন্তায় ফেলেছে ভক্তগণকেও। অজানা আশঙ্কায় নীলমাধবের সামনে করজোড়ে হাজির হচ্ছেন তাঁরা। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে