কলকাতা : বসন্ত পঞ্চমী।  সরস্বতী পুজো। শুধু বাংলা নয়, সারা ভারতেই পূজিতা পলাশপ্রিয়া। মাঘ মাসের শুক্ল পক্ষের পঞ্চমী তিথিতে  হিন্দু চন্দ্র পঞ্জিকা অনুসারে মা সরস্বতী পূজিত হন। ২০২৪ সালে, এই  ১৪ ফেব্রুয়ারি, বুধবার, সরস্বতী পুজো পড়েছে। আর বাগদেবীর আরাধনা মানেই পীতবস্ত্রে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়া। মা-সরস্বতীও বেশিরভাগ সময়ে হলুদ রঙের শাড়ি পরিহিতা। অথচ দেবী সরস্বতীর মন্ত্র বলে , তিনি শুভ্রবস্ত্রাবৃতা। সরস্বতীর সাদা পোশাক বিশুদ্ধতাকে নির্দেশ করে। তিনি শ্বেতপদ্মাসনা। তাহলে কেন, বিদ্যার দেবীর আরাধনার সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে হলুদ পোশাক পরার রীতি ? 


দেবী সরস্বতী বিদ্যার সাধিকা। মানসিক উত্তরণের দেবী। তাঁর কাছে প্রার্থনা করা হয় , অজ্ঞতা থেকে আলোর পথে নিয়ে যাওয়ার। এই দিনটিকে তাই হাতেখড়ির দিন হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। 


আরও পড়ুন : 


রামভূমি অযোধ্যার দর্শন করুন এবিপি মেটাভার্সে। ক্লিক করুন।      


বসন্ত পঞ্চমীতে সকলেই হলুদ রং পরতে পছন্দ করেন। আসলে সোনালি হলুদ হল পাকা ফসলের রং। ফলের রং। উত্তর ভারতে সরিষার ক্ষেত এই সময় ফুলে ফুলে ভরে যায়। প্রকৃতি হলুদ বর্ণ রং ধারণ করে। প্রকৃতির এই রংই আসলে মানুষের পোশাকে উঠে আসে। এর পাশাপাশি হলুদ রং আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে বলে মনে করা হয়। 


তাই দেবীকে হলুদ ফুল অর্পণ করা হয়। সুখ ও সমৃদ্ধির জন্য মা সরস্বতীকে হলুদ রঙের ফুল নিবেদন করা ভাল বলে মনে করা হয়। এছাড়া বসন্তের আগমনের বার্তা বয়ে আনে এই উৎসবয  এই ঋতু নবজীবন এবং প্রাণশক্তির প্রতীক। হলুদ একটি প্রাণবন্ত রং। হলুদ নতুন ফসলের প্রতীক, সমৃদ্ধি রং এবং নতুন সূচনার জন্য শুভ। হলুদ রং সুখ, শান্তি দেয় এবং মানসিক চাপ দূর করে। তাই শীতের রুক্ষতাকে বিদায় জানাতে ও পজিটিভিটি নিয়ে বসন্তকে আবাহন জানাতে হলুদ পরার রীতি আছে। 


মনে করা হয় যে কোনও শুভ অনুষ্ঠানের জন্য হলুদ রং খুবই শুভ।  হলুদ ফুল দিয়ে ঘর সাজানোর পাশাপাশি পোশাকেও হলুদ রঙের ব্যবহার করা হয়।  সেই সঙ্গে যদি ঘরে হলুদ পর্দা ব্যবহার করা হয় বা চাদর পাতা হয়, তাহলে মনে ইতিবাচক শক্তি বাড়ে।  এছাড়া বৈজ্ঞানিকভাবে হলুদ রঙকেও বিশেষ বিবেচনা করা হয়েছে। হলুদ রং মানসিক চাপ দূর করে মনে শান্তি আনে।


ডিসক্লেমার :  এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে bengali.abplive.com-এর সম্পাদকীয় স্তরে এ ব্যাপারে কোনও মতামত নেই এবং অনুসরণের জন্য এবিপি নেটওয়ার্ক পরামর্শও দেয় না। কোনো তথ্য বা বিশ্বাস বাস্তবায়নের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অবশ্যই নিন।