কলকাতা : জ্যোতিষশাস্ত্রে শনিকে অশুভ ও নিষ্ঠুর গ্রহ হিসাবে বর্ণনা করা হয়। কর্মের দাতা বলা হয় তাঁকে। যিনি মানুষকে তাঁদের কর্ম অনুসারে শুভ বা অশুভ ফল দেন। শনি কাজের বিচারক। শনি যদি দয়ালু হন তবে যে কেউ জীবনে প্রচুর সাফল্য অর্জন করতে পারেন। আর যদি শনি অশুভ অবস্থানে থাকেন তবে জীবনে ক্রমাগত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। বিশেষ করে শনির সাড়ে সাতি মানুষের সুখ-শান্তি কেড়ে নেয়। জ্যোতিষশাস্ত্রে এমন অনেক ব্যবস্থার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যা শনির প্রকোপ এড়াতে ব্যবহার করা যেতে পারে।


শনির প্রকোপ এড়াবেন কীভাবে ?



  • শনির সাড়ে সাতি থেকে বাঁচতে শনির মন্ত্র খুব কার্যকর বলে মনে করা হয়। প্রতিদিন এই মন্ত্র জপ করলে শনির সাড়ে সাতির নেতিবাচক প্রভাব কমে।

  • শনিদেব কালো তিল খুব পছন্দ করেন। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে, শনিবার কালো তিল দান করলে শনির মহাদশা ও সাড়ে সাতি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

  • নীলা রত্নপাথর পরিধান করলে শনি গ্রহের অশুভ প্রভাব কমানো যায়। তবে যে কোনও রত্ন পরার আগে বিশেষজ্ঞ জ্যোতিষীর পরামর্শ নিন।

  • শনিবার শনি পুজো করলে শনির মহাদশা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। শনিবার হনুমান চালিসা পাঠ করা সাড়ে সাতির অশুভ প্রভাব দূর করার জন্য একটি নিশ্চিত উপায় হিসাবে বিবেচিত হয়। হনুমান চালিসা পাঠ শনির সমস্ত ঝামেলা থেকে মুক্তি দেয়।

  • শনিবারে গরিব-দুঃখীকে দান করাও শনির অশুভ প্রভাব কমাতে সাহায্য করতে পারে। শনিদেব লোহা, তিল, সরিষার তেল এবং ছায়া দান খুব পছন্দ করেন। বিশ্বাস করা হয় যে এই জিনিসগুলি দান করলে ক্রুদ্ধ শনিদেব শান্ত হন।

  • শনিবার অশ্বত্থ গাছের পুজো করুন এবং এর নীচে একটি প্রদীপ জ্বালান। এই গাছই শনিদেবের খুব প্রিয়। এর পুজো করলে শনিদেব শীঘ্রই প্রসন্ন হন।


ডিসক্লেমার :  এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে bengali.abplive.com-এর সম্পাদকীয় স্তরে এ ব্যাপারে কোনও মতামত নেই এবং অনুসরণের জন্য এবিপি নেটওয়ার্ক পরামর্শও দেয় না। কোনো তথ্য বা বিশ্বাস বাস্তবায়নের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অবশ্যই নিন।


আরও পড়ুন ; পৌষ অমাবস্যায় সূর্য ও শনির চাল পরিবর্তন, আর্থিকভাবে লাভবান হবে এই ৩ রাশি