কলকাতা: পাখি তো কী হয়েছে, প্রাণী তো! বিবাহিত দম্পতিদের যেমন মতানৈক্য হয়, তেমন পাখিদের মধ্যেও মতানৈক্যও হয়। অনেক সময়ই প্রেমে জটিলতার কারণে একে অপরের থেকে আলাদা হওয়ার ঘটনা ঘটে। যদিও বিবাহবিচ্ছেদ হয় অবশ্য একটি দীর্ঘ কার্যক্রম। তবে একই ধরনের আচরণ এখন প্রাণীদের মধ্যে পরিলক্ষিত হয়েছে।
পাখিদের মধ্যেও বিচ্ছেদের ঘটনা পরিলক্ষিত হয়েছে। যা অবশ্য বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিতও হয়, বিজ্ঞানীদের তেমনটাই মত। পাখিরা প্রধানত তাদের একগামী সামাজিক মিলন করে থাকে। পাখিদের মধ্যে প্রজননের সময় একক সঙ্গম সঙ্গী থাকে। গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন যে পাখিদের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদের পিছনের কারণগুলি মানুষের মতোই। মানুষের মধ্যে দেখা যায় যেমন যৌন সংঘাত এবং পার্শ্ববর্তী পরিবেশ থেকে চাপের থেকে এমন ঘটনা ঘটে। পাখিদের মধ্যেও তাই।
প্রসিডিংস অফ দ্য রয়্যাল সোসাইটি জার্নালে প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক গবেষণায়, চিন এবং জার্মানির বিজ্ঞানীরা বিবাহবিচ্ছেদের হারকে প্রভাবিত করে এমন প্রাথমিক কারণগুলি সনাক্ত করতে ২৩২টি পাখির প্রজাতির বিবাহবিচ্ছেদের হার সম্পর্কিত পূর্বে প্রকাশিত ডেটা পরীক্ষা করেছেন, যা এখনও বিতর্কের বিষয়।
তারা বিবাহবিচ্ছেদের হার এবং উভয় লিঙ্গের অসঙ্গতি, বহুবিবাহের প্রবণতা,দূরত্ব এবং প্রাপ্তবয়স্কদের মৃত্যু সহ বিভিন্ন কারণ পাখিদের পারস্পরিক সম্পর্ক বিশ্লেষণ করেছে। গবেষকরা দেখেছেন যে পুরুষের প্রমিসকুইটি, কিন্তু মহিলাদের প্রমিসকিউটি নয়, বিবাহবিচ্ছেদের হারের সঙ্গে একটি ইতিবাচক সম্পর্ক রয়েছে।
গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, "এই ফলাফলগুলি থেকে জানা যায়, যে বিবাহবিচ্ছেদ পাখিদের মধ্যে একটি সাধারণ অভিযোজিত (যৌন নির্বাচন) বা অ-অভিযোজিত কৌশল (একজন সঙ্গীর দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতির ফলে) থাকে। তাই এমন ডিভোর্স খুব স্বাভাবিক পাখিদের মধ্যে।"
আরও পড়ুন, চতুর্দিকে নিকষ কালো আঁধার, এর মাঝে আলোয় উদ্ভাসিত বলয়! 'অন্য রূপে' শনি দেখল পৃথিবী