শ্রীহরিকোটা: সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১৩ জুলাই ভারতের বুক থেকে রওনা দেবে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)। এখনও পর্যন্ত ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা 'ইসরো'-র (ISRO) তরফে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না হলেও চন্দ্রাভিযানের (indian Lunar Mission) তোড়জোড় যে একেবারে শেষ পর্বে সেটা জানিয়ে দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। চন্দ্রযান তৈরি শেষ। যে রকেটে সেটি উৎক্ষেপণ করা হবে, সেটিও 'অ্যাসেম্বল' করা হয়ে গিয়েছে। বাকি কাজও প্রায় সারা। সম্ভবত আগামী সপ্তাহেই 'ভেহিকল অ্যাসেম্বলি বিল্ডিং' থেকে দ্বিতীয় লঞ্চপ্যাডে আনা হবে 'লঞ্চ ভেহিকল'-টিকে।


আর কী জানা গেল?
সূত্রের খবর, রকেটের সঙ্গে চন্দ্রযান-৩ জুড়ে দেওয়ার আগে চূড়ান্ত এক দফা পরীক্ষা বাকি। তার পরই চাঁদের দিকে ধেয়ে যাবে চন্দ্রযান-৩। এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করেন ইসরো। তবে সংস্থার চেয়ারম্যান এস সোমনাথ জানিয়েছেন, এই অভিযানের জন্য ১২-১৯ জুলাই, এই সপ্তাহটি নির্দিষ্ট করে রেখেছে। তাঁর কথায়, 'এই মেয়াদের গোড়ার দিকেই আমরা অভিযান সেরে নিতে চাইছি।'


প্রেক্ষাপট...
ভারত যে একের পর এক মহাকাশ অভিযান চালাচ্ছে, তারই একটি অংশ এই চন্দ্রাভিযান। ২০০৮ সালে উৎক্ষেপণ করা হয় চন্দ্রযান-১। চাঁদের কক্ষপথে সেটি স্থাপন করতে সফল হয়েছিলেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। এর পরে হয় চন্দ্রযান-২। ২০১৯ সালের ওই অভিযানের উৎক্ষেপণ পর্যায় সফলভাবে মিটলেও সফটওয়্যারে গোলমালের ফলে 'ল্যান্ডার'-টি নির্দিষ্ট গতিপথ ভুলে চাঁদের মাটিতে কার্যত আছড়ে পড়ে (Hard Landing)। সে বার যা অধরা থেকে গিয়েছিল, সেটি পূরণ করাই পাখির চোখ 'চন্দ্রযান-৩'-র। 


কী কী থাকছে চন্দ্রযান-৩-এ?
দেশীয় উপায়ে তৈরি ল্যান্ডার মডিউল, প্রোপালশান মডিউল এবং রোভার। এই তিনটি নিয়েই তৈরি চন্দ্রযান ৩। এক গ্রহ থেকে অন্য গ্রহে অভিযান চালাতে কী ধরনের প্রযুক্তি দরকার, তার জন্য তথ্য জোগাড় ও হাতেকলমে পরীক্ষানিরীক্ষা চালানোই মূল লক্ষ্য এই অভিযানের। এবার যে ল্যান্ডারটি পাঠানো হচ্ছে, সেটি চন্দ্রপৃষ্ঠের একটি নির্দিষ্ট স্থানে 'সফট ল্যান্ড' করতে সক্ষম, খবর ইসরো সূত্রে। ল্যান্ডিংয়ের পর সেখানেই 'রোভার'-কে নামিয়ে দেওয়া কাজ তার। এবার 'রোভার' চন্দ্রপৃষ্ঠের ওই এলাকার রাসায়নিক গঠন পরীক্ষা করে তথ্য় পাঠাবে। এই পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য 'সায়েন্টিফিক পেলোড' থাকছে 'ল্যান্ডার' ও 'রোভার'-এ। চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণের জন্য 'লঞ্চ ভেহিকল মার্ক থ্রি' রকেট ব্যবহার করা হবে। শ্রীহরিকোটার সতীশ ধবন স্পেস সেন্টার থেকে সেটি রওনা দেবে চাঁদের দিকে। বিজ্ঞানীমহলে গুঞ্জন, চূড়ান্ত প্রস্তুতির কাউন্টডান্টন শুরু হয়ে গিয়েছে। এখন শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা।


আরও পড়ুন:স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য কীভাবে আবেদন করবেন? জরুরি তথ্যগুলো জেনে রাখুন