নয়াদিল্লি: চন্দ্রযান-৩ অভিযানের সাফল্যের পর আত্মজীবনীও লিখে ফেলেছিলেন। কিন্তু বিতর্কের জেরে বইয়ের মুক্তি বাতিল করলেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার প্রধান এস সোমনাথ। বইয়ের কিছু অংশ নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয় সম্প্রতি। বিশেষ করে ISRO-য় নিজের পূর্বসূরি কে শিবনকে নিয়ে তাঁর কিছু উক্তি নিয়ে বিতর্ক বাধে। তার জেরেই তিনি বইয়ের মুক্তি বাতিল করলেন বলে শোনা যাচ্ছে। (S Somanath)
'নীলাভু কুদিচা সিমহাঙ্গল', অনুবাদ সাপেক্ষে 'লায়ন্স দ্যাট ড্র্যাঙ্ক দ্য মুনলাইট' নামে নিজের আত্মজীবনী লিখেছেন সোমনাথ। কিন্তু বইটির কিছু অংশ সামনে আসার পর থেকেই বিতর্ক শুরু হয়। তার পরই শনিবার আত্মজীবনীর মুক্তি বাতিল করছেন বলে শনিবারই জানান সোমনাথ। কারণ জানাতে গিয়ে সোমনাথ জানান, কোনও সংগঠনের শীর্ষে থাকলে অনেক বাধাবিপত্তির মুখে পড়তে হয়। (ISRO Chief Autobiography)
কে শিবনকে নিয়ে বিতর্কিত উক্তির জন্যই কি তাহলে বইয়ের মুক্তি পিছিয়ে দিলেন সোমনাথ? উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, "এই ধরনের পদে থাকেন যাঁরা, তাঁদের অনেক বাধা-বিপত্তির মধ্য দিয়ে যেতে হয়। তার মধ্যে একটি হল, কোনও সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা পাওয়া। প্রত্যেককেই এই চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। এই পদের দাবিদার হয়ত অনেকেই। আমি শুধু একটি নির্দিষ্ট বিষয় তুলে ধরতে চেয়েছিলাম। ব্যক্তিবিশেষকে নিশানা করতে চাইছি না।"
একই সঙ্গে সোমনাথ জানান, তিনি কাউকে অসম্মান করতে চাননি। কিন্তু চন্দ্রযান-২ অভিযানের ঘোষণা নিয়ে কিছু কথা তুলে ধরতে চেয়েছিলেন মাত্র। মানুষকে অনুপ্রেরণা জোগাতে চেয়েছিলেন, যাঁতে সব বাধা-বিপত্তি টপকেও জীবনে কিছু করে দেখাতে পারেন তাঁরা এবং কখনও অন্যকে ছোট করে দেখানোর প্রয়োজন না হয়।
সোমনাথের বই নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত কিছু বিষয় ঘিরে। আত্মজীবনীতে তিনি লেখেন, তাড়াহুড়ো করতে গিয়েই চন্দ্রযান-২ অভিযান ব্যর্থ হয়েছিল। তাঁর দাবি, ব্যর্থতার কার্যকারণ লুকিয়েও রাখা হয়। তিনি আগেই বলেছিলেন, চাঁদের মাটি ছুঁতে গেলে ভেঙএ পড়তে পারে মহাকাশযান। কিন্তু তাঁর কথা কানে তোলা হয়নি। পরবর্তী কালে সেই সংক্রান্ত বিশদ তথ্য সকলের সামনে তুলে ধরা হয়নি। শুধু তাই ন., শিবন তাঁর পদোন্নতি আটকে রেখেছিলেন বলেও অভিযোগ করেন। উল্লেখ্য, সম্প্রতি সোমনাথের নেতৃত্বেই চন্দ্রযান-৩ অভিযান সফল হয়। তার পরই গোটা দেশে পরিচিতি পান তিনি।