নয়াদিল্লি: পৃথিবীর নয়া উপগ্রহকে নিয়ে ব্যস্ত সকলে। সেই আবহেই জরুরি ভিত্তিতে সতর্কতা জারি করল আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA. ৩ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার পৃথিবীর কাছ দিয়ে ছুটে যাওয়ার কথা দু'টি গ্রহাণুর। সেই নিয়ে সতর্ক করল NASA. কারণ ওই দুই গ্রহাণুর মধ্যে একটি বিপজ্জনক বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। (Asteroids Collision)


বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, 2024 SD3 গ্রহাণুটির আয়তন ৬৮ ফুট। ছোট আকারের বিমানের সমান প্রায়। সেটিকে 'সম্ভবত বিপজ্জনক' বলে উল্লেখ করেছেন বিজ্ঞানীরা। আকার এবং গতিবেগের জন্যই 2024 SD3 গ্রহাণুটিকে নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। যদিও পৃথিবী থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখেই সেটি বেরিয়ে যাবে বলে জানা গিয়েছে। পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থানে যখন থাকবে, দূরত্ব হবে ২৬ লক্ষ ৮০ হাজার কিলোমিটার। গতিবেগ হবে ঘণ্টায় প্রায় ৪১ হাজার ৮৩৫ কিলোমিটার। ভারতীয় সময় অনুযায়ী বিকেল ৪টে নাগাদ পৃথিবীকে অতিক্রম করবে গ্রহাণুটি। (NASA on Asteroid Collision Today)


সেই তুলনায় দ্বিতীয় গ্রহাণু 2024 SR4 টি আয়তনে কিছুটা ছোট, ৫১ মিটার আয়তনে। 2024 SD3-র চেয়ে পৃথিবীর বেশি কাছে থাকবে সেটি। পৃথিবীর সবচেয়ে কাছা অবস্থানে দূরত্ব হবে ১৪ লক্ষ ৯০ হাজার কিলোমিটার। গতিবেগ ঘণ্টায় ৬৫ হাজার ৬২৯ কিলোমিটার হবে। ভারতীয় সময় অনুযায়ী, রাত ৯টা বেজে ১৯ মিনিটে এটি পৃথিবীকে অতিক্রম করবে। 


NASA-র Jet Propulsion Laboratory এই মুহূর্তে ওই দুই গ্রহাণুর উপর নজরদারি চালাচ্ছে। একটি গ্রহাণুর নাম রাখা হয়েছে 2024 SD3, অন্যটির 2024 SR4. আজ পৃথিবীর গা ঘেঁষে ছুটে যাবে তারা। এমনিতে তাদের গতিপথ নিয়ে বিপদের কোনও ঝুঁকি নেই। কিন্তু ছুটে যাওয়ার সময় কোনও বিপদ ঘটতে পারে কি না, কী হয় সেদিকে নজর রয়েছে বিজ্ঞানীদের। 


তবে মহাজাগতিক এই ঘটনা গবেষণার কাজে বিজ্ঞানীদের সাহায্য করবে। সৌরজগৎ সৃষ্টির সময় থেকে মহাজগতে যে সমস্ত বস্তুসমূহ রয়েছে, তাদের সম্পর্কে সঠিক ধারণা মিলবে বলে আশা। পাশাপাশি, তারা পৃথিবীর জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে কি না, সেই নিয়েও সম্যক ধারণা পেতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।  যে কারণে লাগাতার নজরদারি চলছে। 


বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, কোনও মহাজাগতিক বস্তুর আয়তন যদি ২৫ মিটার বা ৮২ ফুটের কম হয়, সেক্ষেত্রে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের প্রবেশের পর ঘর্ষণেই পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। এর চেয়ে সামান্য বড় বস্তু যদি আছড়ে পড়ে, তাহলে যেখানে আছড়ে পড়বে, সেই এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি হবে। কিন্তু ১ কিলোমিটার আয়তনের কোনও বস্তু যদি আছড়ে পড়ে, সেক্ষেত্রে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে, যার প্রভাব গোটা পৃথিবীতে অনুভূত হতে পারে। NASA-র Planetary Defence Coordination Office আকাশ পথে নজরদারি চালায়, যাতে সম্ভাব্য বিপদ থেকে আগেভাগে সতর্ক করা যায় সকলকে।