নয়াদিল্লি: মহাকাশ অভিযানে একের পর এক মাইলফলক ছুঁয়ে চলেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO. সেই সন্ধিক্ষণে এবার সংস্থার প্রধান হচ্ছেন বিজ্ঞানী ভি নারায়ণন। ISRO-বর্তমান চেয়ারম্যান এস সোমনাথের জায়গায় তিনি আসীন হতে চলেছেন। ৭ জানুয়ারি ভি নারায়ণনের নিযুক্তির ঘোষণা হয়েছে। আগামী ১৪ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক ভাবে ISRO-র দায়িত্ব গ্রহণ করবেন তিনি। 


এতদিন ISRO-তে রকেট প্রপালসন বিশেষজ্ঞ এবং এ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন নারায়ণন। ক্রায়োজেনিক প্রপালসন সিস্টেম নিয়ে কাজেরও অভিজ্ঞরা রয়েছে। দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে প্রপালসন সিস্টেম নিয়েই কাজ করে চলেছেন। ভারতের মহাকাশ গবেষণার কাজে অসামান্য অবদান রয়েছে তাঁর। 


তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারীর মেলাকাট্টু গ্রামে জন্ম নারায়ণনের। কৃষক পরিবারের ছেলে তিনি। ১৯৮৯ সালে আইআইটি খড়গপুর থেকে ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিনিয়ারংয়ে এম টেক করেন তিনি। ক্লাসের সেরা হন তিনি, পান রুপোর পদক। এর পর আই আইটি খড়গপুর থেকেই এ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি করেন তিনি। রকেট প্রপালসন সিস্টেম আগাগোড়া তাঁর আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু ছিল। 



১৯৮৪ সালে ISRO-র ক্রায়োজেনিক লিকুইড প্রপালসন সিস্টেম সেন্টারের প্রপালসন ডিভিশনেই প্রথম কাজে যোগ দেন নারায়ণন। পাশাপাশি, সাউন্ডিং রকেট, ASLV, PSLV নিয়ে কাজ করেন বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারে।  ISRO-র প্রপালসন সিস্টেমকে তিনিই নয়া উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন।  গত পাঁচ বছরে ১৬৪টি লিকুইড প্রপালসন সিস্টেম, ৪১টি লঞ্চ ভেহিকল এবং ৩১টি মহাকাশযান প্রযুক্তির কাজে যুক্ত ছিলেন নারায়ণন। বিশেষ করে CE20 ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন তৈরিতে তাঁর অবদান স্বীকার করেন সকলেই। এর ফলে ভারী ওজনের পেলোড মহাকাশে পাঠাতে সফল হয়েছে ISRO. চন্দ্রযান, গননযান অভিযান এর আওতায় পড়ে। পাশাপাশি ভারতের সৌরযান তৈরিতেও যুক্ত ছিলেন।



নারায়ণন জানিয়েছেন, একাধিক প্রকল্প রয়েছে ISRO-র হাতে। দায়িত্ব হাতে নিয়ে সেই কাজেই হাত দেবেন তিনি। গগনযান অভিযান নিয়ে উৎসাহ প্রকাশ করেছেন, তার পর চাঁদে মানুষ পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু হবে। চন্দ্রযান-৪ অভিযানে ইতিমধ্যেই অনুমোদন মিলেছে। ওই অভিযানে চাঁদের মাটির নমুনা পৃথিবীতে আনার লক্ষ্য রয়েছে।