কলকাতা: করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে লকডাউন হয়ে উঠেছিল সব থেকে বড় হাতিয়ার। কিন্তু নিজের নিজের ঘরবন্দি হয়েও পৃথিবীর সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়নি আমাদের। কারণ হোয়াটসঅ্যাপ, জুম, কিওরফিট, এয়ারটেল, জোমাটো ও সুইগির মত বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম।


হোয়াটসঅ্যাপ


ঘরবন্দি থাকার সময় আত্মীয়, বন্ধুদের কাছাকাছি থাকার জন্য আমাদের একমাত্র উপায় ছিল হোয়াটসঅ্যাপ। সহজে ভিডিও কল করার সব থেকে সহজ উপায় হোয়াটসঅ্যাপ কিন্তু এতে শুধু ৪ জনই কথা বলতে পারেন। লকডাউনের সময় ইউজারদের প্রয়োজন বুঝে তা বাড়িয়ে ৮ করে দেয় তারা।


জুম

লকডাউন চলবে বলে কি বন্ধ থাকবে অফিস কাছারি, স্কুল কলেজ? অফিসের কাজ ননস্টপ করার জন্য সঙ্গে ছিল জুম প্ল্যাটফর্ম। এতে সহজে অফিসের মিটিং যেমন করা গিয়েছে তেমনই চলেছে অন্যান্য কথাবার্তা। পড়ুয়াদের প্রয়োজন বুঝে জুম নিয়ে আসে জুম ফর এডুকেশন। জুম স্কুলের বেসিক প্ল্যান থেকে ৪০ মিনিট কল লিমিট হঠিয়ে দেয় আর স্কুলের জন্য ফ্রি করে দেয় তাদের পরিষেবা।  ফলে অনলাইন ক্লাস চলেছে সহজেই।

কাল্ট.ফিট

করোনা আবহে সবার যেদিকে নজর পড়ে তা হল আমাদের স্বাস্থ্য। লকডাউনের জেরে সকলের বাইরে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়, সঙ্গে বন্ধ হয় শারীরিক কসরত। কাল্ট.ফিট ঘরে বসেই শরীরচর্চার জন্য নিয়ে আসে কাল্ট.লাইভ। এই সব লাইভ ক্লাস নেন একজন স্টার ট্রেনার, ঘরে বসেই ইচ্ছেমত শরীরচর্চা করতে পারেন সকলে।




এয়ারটেল

হোয়াটসঅ্যাপ, জুম ও কাল্ট.ফিট অ্যাপ ব্যাবহারের জন্য দরকার ছিল হাই স্পিড ইন্টারনেট। তা আমাদের দিয়েছে এয়ারটেল। দেশের প্রতিটি কোণায় পরিষেবা পৌঁছে দিয়েছে তারা। পাশাপাশি মজুর, সবজি বা ফল বিক্রেতাদের মত দিন আনি দিন খাই মানুষ, যাঁরা ফোন রিচার্জের জন্য দোকানের ওপর নির্ভরশীল, তাঁদের পরিষেবা দেওয়ার কথা আলাদা করে ভাবে এয়ারটেল। এটিএম, ওষুধের দোকান ও পোস্ট অফিসের মত জরুরি পরিষেবামূলক জায়গাগুলিতেও মোবাইল রিচার্জ করার সুবিধে দেয়। এয়ারটেল থ্যাঙ্কস অ্যাপ দিয়ে সব নেটওয়ার্কেই অনলাইন রিচার্জ করা শুরু হয় ও সাধারণের সাহায্যে শুরু হয় ৪% ক্যাশব্যাক। ফলে দূরদূরান্তের শহরে আটকে পড়া মানুষ গ্রামে পরিবারের লোকের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।


জোমাটো আর সুইগি


লকডাউনে আর যা আমরা মিস করেছি তা হল পছন্দসই খাবার। কিন্তু এ জন্যও পাশে ছিল জোমাটো আর সুইগি। সম্পূর্ণ নিরাপত্তা দিয়ে তারা আমাদের কাছে প্রিয় রেস্তোঁরার খাবার পৌঁছে দেয়। পুরোপুরি ‘কন্ট্যাক্টলেস’ভাবে, খাবারে কারও হাত না লাগিয়ে তা প্যাক করা হয় ও পৌঁছে দেওয়া হয় ঘরে ঘরে। করোনা পরিস্থিতি এখনও যথেষ্ট জটিল। তার মধ্যেও এই সংস্থাগুলি যেভাবে আমাদের সাহায্য করে চলেছে, তা সত্যিই প্রশংসার বিষয়।