ঢাকা: ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ মানেই এখন টানটান উত্তেজনা। এই দুই দলের লড়াই সবসময়ই হাড্ডাহাড্ডি হয়। ভারত-বাংলাদেশের অন্যতম স্মরণীয় ম্যাচ হয়েছিল ২০১৬ সালের টি-২০ বিশ্বকাপে। বেঙ্গালুরুতে সেই ম্যাচে জয়ের দোরগোড়া থেকে শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। এক রানে ম্যাচ জেতে ভারত। সেই হারই তাঁর কেরিয়ারের অন্যতম হতাশাজনক ঘটনা বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের তারকা ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম।


সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ৭ উইকেটে ১৪৬ রান করে ভারত। সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন সুরেশ রায়না। বিরাট কোহলি ২৪ ও শিখর ধবন ২৩ রান করেন। ওপেনার রোহিত শর্মা করেন ১৮ রান। বাংলাদেশের হয়ে দু’টি করে উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান ও আল-আমিন হোসেন। জবাবে ৯ উইকেটে ১৪৫ রান করে বাংলাদেশ। শেষ তিন বলে আউট হন মুশফিকুর, মাহমুদুল্লাহ ও মুস্তাফিজুর। ফলে অভাবনীয় জয় পায় ভারত। সেদিন ভারতের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি কঠিন সময়ে হিমশীতল মস্তিষ্ক ও ক্ষুরধার ক্রিকেটবুদ্ধির পরিচয় দেন। অন্যদিকে, মুশফিকুর পরিণত মানসিকতা দেখাতে পারেননি।

একটি ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুশফিকুর জানিয়েছেন, ‘২০১৬ টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে হার এবং ২০১৮ সালে গায়ানায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সিরিজের দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে হারই আমার কেরিয়ারের সবচেয়ে হতাশাজনক ঘটনা। সেই একদিনের ম্যাচ জিততে পারলেই আমরা সিরিজ জিততাম। যদিও আমরা পরের ম্যাচ জিতেছিলাম। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচটি জিততে পারলে সিরিজ হোয়াইটওয়াশ করতে পারতাম।’

মুশফিকুর আরও জানিয়েছেন, ‘আইপিএল-এ খেলার সুযোগ না পাওয়ায় আমার কোনও আফশোস নেই। আমার মনে হয় না দেশের হয়ে খেলার চেয়ে আইপিএল বড় হতে পারে। আইপিএল অবশ্যই বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ টি-২০ লিগ। বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়রা এই লিগে খেলেন। ফলে এই প্রতিযোগিতায় খেলার সুযোগ পেলে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করতাম। কিংবদন্তী ক্রিকেটারদের সঙ্গে ড্রেসিংরুম ভাগ করে নেওয়ার সুযোগ পেতাম, আমার খেলারও উন্নতি হত। আমি আইপিএল-এ খেলার সুযোগ পেলে অবশ্যই যাব। কিন্তু সুযোগ না পেলে আফশোস নেই।’