অফিসার্স ট্রেনিং অ্যাকাডেমি থেকে স্নাতক হওয়ার পর ২০১১ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন সুমন। তিনি সিগন্যাল কোরের সদস্য। রাষ্ট্রপুঞ্জের হয়ে দক্ষিণ সুদানে কর্তব্যরত সুমন। তিনি সেখানে গৃহযুদ্ধের সময় মহিলাদের উপর যৌন নির্যাতন রোখার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন। তাঁর এই কাজেরই প্রশংসা করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ।
দক্ষিণ সুদানে রাষ্ট্রপুঞ্জের ২৩০ জন সেনা পর্যবেক্ষককে মহিলাদের উপর যৌন নির্যাতন রোখার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন সুমন। দক্ষিণ সুদানের সরকারের বাহিনীকেও প্রশিক্ষণ দিয়েছেন ভারতের এই মেজর। তিনি এ বিষয়ে জানিয়ছেন, ‘আমাদের যে কাজ, যে র্যাঙ্কই হোক না কেন, রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিরক্ষাবাহিনীর সদস্য হিসেবে কর্তব্য হল, রোজকার কাজে সব লিঙ্গের মানুষের বিষয়টি দেখতে হবে। সহকর্মী ও সমাজের সবার সঙ্গেই কথা বলার সময় বিষয়টি মাথায় রাখতে হয় আমাদের।’
শুক্রবার সুমনকে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কৃত করবেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরেজ। সুমন ছাড়াও পুরস্কার পাবেন ব্রাজিলের নৌবাহিনীর অফিসার কমান্ডার কার্লা মন্টেইরো ডে কাস্ত্রো অরাউজো। করোনা ভাইরাসের জেরে এবার অবশ্য প্রকাশ্যে কোনও অনুষ্ঠান হবে না। অনলাইনেই পুরস্কার দেওয়া হবে।
রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিরক্ষাবাহিনীর সদস্য হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যরা। তাঁরা শান্তিরক্ষায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। এবার ভারতের সুনাম বাড়ালেন সুমন।