ভাস্কো দা গামা: লিগ টেবলে তিন নম্বরে থাকা গোয়ার বিরুদ্ধে লড়াইটা মোটেই সহজ ছিল না। গত ম্যাচে ওড়িশা এফ সি-র বিরুদ্ধে জয় এলেও, গোয়া তুলনায় অনেক শক্তিশালী দল। তার উপর এদিন এস সি ইস্টবেঙ্গলের স্কোয়াডেই ছিলেন না দলের অন্যতম ভরসা অ্যান্টনি পিলকিংটন। তা সত্ত্বেও অসাধারণ লড়াই করল ইস্টবেঙ্গল।


৫৬ মিনিটে লালকার্ড দেখে বেরিয়ে যান এস সি ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়ক ড্যানি ফক্স। ফলে দ্বিতীয়ার্ধের সংযোজিত ৬ মিনিট সহ ৪০ মিনিটেরও বেশি সময় ১০ জনে খেলতে হয় ইস্টবেঙ্গলকে। তারপরেও ড্র করেই মাঠ ছাড়লেন দেবজিৎ মজুমদার, রাজু গায়কোয়াড়রা। রক্ষণের ভুলে গোল হজম না করলে এবং সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে জয়ও পেতে পারত ইস্টবেঙ্গল।

এদিন ম্যাচের সেরা মুহূর্ত হয়ে থাকল লাল-হলুদের নতুন তারকা ব্রাইট এনোবাখারের গোলটি। এই ধরনের গোল ভারতীয় ফুটবলে খুব একটা দেখা যায় না। ব্রাইট মাঠে নামার পর থেকেই নিজের জাত চেনাচ্ছেন। তাঁকে যদি ধরে রাখতে পারে ইস্টবেঙ্গল, তাহলে ভবিষ্যতে অনেক সাফল্য পেতে পারে।

আজ এস সি ইস্টবেঙ্গলের প্রথম একাদশে একাধিক বদল করেন কোচ রবি ফাওলার। প্রথম একাদশে রাখা হয়নি গত ম্যাচে ওড়িশা এফ সি-র বিরুদ্ধে দুর্দান্ত খেলা জ্যাকুয়েস ম্যাঘোমাকে। এদিন প্রথম থেকেই খেলার সুযোগ পান ব্রাইট , অ্যারন হলোয়ে, অঙ্কিত মুখোপাধ্যায়। দলে ফেরেন নারায়ণ দাস।

প্রথম থেকেই দুর্দান্ত লড়াই শুরু হয়। গোয়ার আক্রমণই বেশি ছিল। দেবজিৎ এদিনও অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখান। তিনি একাধিক নিশ্চিত গোল বাঁচান। প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকে।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেও গোয়ার আক্রমণই বেশি থাকে। ইস্টবেঙ্গল পাল্টা লড়াই চালাচ্ছিল। এরই মধ্যে ৫৬ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন ড্যানি ফক্স। তবে ১০ জনে হয়ে যাওয়ার পরেও লড়াই থামায়নি ইস্টবেঙ্গল। বরং ব্রাইটরা আরও ভাল খেলতে শুরু করেন। ৭৯ মিনিটে বিশ্বমানের গোল করেন ব্রাইট। ম্যাঘোমার কাছ থেকে বল পেয়ে গোয়ার তিন ডিফেন্ডার এবং তারপর গোলকিপারকে পাশ কাটিয়ে জালে বল জড়িয়ে দেন লাল-হলুদের নতুন তারকা। কিন্তু তাঁর এই গোলের পরেও রক্ষণের ভুলে গোল হজম করতে হয় ইস্টবেঙ্গলকে। ৮১ মিনিটেই গোল শোধ করে দেন গোয়ার দেবেন্দ্র মুরগাওকর। শেষদিকে আর কোনও গোল হয়নি।

এদিন ড্র করার ফলে ৯ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলে ৯ নম্বরে থাকল ইস্টবেঙ্গল। ১০ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে গোয়া।