নয়াদিল্লি: কাল থেকে শুরু টোকিও অলিম্পিক্স। করোনা আবহেই হচ্ছে অলিম্পিক্স। ১২৭ জনের ভারতীয় দল এবারের অলিম্পিক্সে যোগ দিচ্ছে। করোনা আবহে অ্যাথলিটদের প্রস্তুতি বিঘ্নিত হয়েছে। তা সত্ত্বেও এবার সবচেয়ে বেশি পদক জয়ের আশায় ভারত। এখনও পর্যন্ত অলিম্পিক্স থেকে ২৮টি পদক পেয়েছে ভারত। তার মধ্যে ৯টি সোনা, সাতটি রুপো ও ১২টি ব্রোঞ্জ রয়েছে। ব্যক্তিগত সোনা একটিই, যা ২০০৮ সালে বেজিং অলিম্পিক্সে পান শ্যুটার অভিনব বিন্দ্রা। বাকি আটটি সোনাই এসেছে হকি থেকে। এছাড়া হকিতে একটি রুপো ও দু’টি ব্রোঞ্জ পেয়েছে ভারত। এবার ব্যক্তিগত ও দলগত পদক সংখ্যা বাড়ানোই ভারতের অ্যাথলিটদের লক্ষ্য।


টোকিওতে করোনা সংক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে এবারের অলিম্পিক্স আয়োজন নিয়েই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। গেমস আয়োজনের বিরুদ্ধে জোরাল সওয়াল করেছেন টোকিওর চিকিৎসকরা। গেমস ভিলেজে বেশ কয়েকজন অ্যাথলিট সংক্রমিত হয়েছেন। তা সত্ত্বেও হচ্ছে অলিম্পিক্স। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি ও জাপান সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অলিম্পিক্স স্থগিত রাখার কোনও পরিকল্পনা নেই। তবে কোনও দর্শককেই স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।


এবারই অলিম্পিক্সে সবচেয়ে বড় দল পাঠিয়েছে ভারত। সেই কারণে প্রত্যাশাও বেশি। গত কয়েকটি অলিম্পিক্সের মধ্যে ২০১২ সালে লন্ডনেই সবচেয়ে ভাল ফল হয়েছে ভারতের। সেবার জোড়া রুপো সহ ৬টি পদক জেতে ভারত। কিন্তু ২০১৬ সালে রিওতে ভারতের ফল একেবারেই ভাল হয়নি। ব্যাডমিন্টনে মহিলাদের সিঙ্গলসে রুপো পান পিভি সিন্ধু। মহিলাদের ৫৮ কেজি ফ্রিস্টাইল কুস্তিতে ব্রোঞ্জ পান সাক্ষী মালিক। এছাড়া ভারতের আর কোনও অ্যাথলিটই পদক পাননি। এবার তাই বেশি পদকের আশায় ভারত। ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থা ও ক্রীড়ামন্ত্রকের আশা, এবার ভারতের পদক সংখ্যা দুই অঙ্কে পৌঁছে যাবে।


গত অলিম্পিক্সের পর থেকেই টোকিওর জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দেয় ক্রীড়ামন্ত্রক। অ্যাথলিটদের প্রস্তুতির জন্য পরিকাঠামোর উন্নতি করা হয়েছে, প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের ব্যবস্থা করা হয়েছে, বিদেশি কোচ আনা হয়েছে, প্রস্তুতির জন্য বিদেশেও পাঠানো হয়েছে অ্যাথলিটদের। করোনা আবহেও প্রস্তুতি নিয়েছেন অ্যাথলিটরা। এবার টোকিওতে তাঁদের পারফরম্যান্স দেখাতে হবে।