সেঞ্চুরিয়ন: দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজের ষষ্ঠ তথা শেষ একদিনের ম্যাচেও ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলির স্বপ্নের ফর্ম অব্যাহত থাকল। আজ তিনি ৮২ বলে একদিনের আন্তর্জাতিকে নিজের ৩৫-তম শতরান করেন। শেষপর্যন্ত ৯৬ বলে ১২৯ রানে অপরাজিত থাকেন বিরাট। তিনি রোহিত শর্মাকে টপকে একটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ভারতীয়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান করার নজির গড়লেন। ২০১৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজে ৪৯১ রান করেছিলেন রোহিত। ৫০০ রান করে সেই নজির টপকে গেলেন বিরাট। আজ তাঁর ও শার্দুল ঠাকুরের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৮ উইকেটে হারিয়ে এই সিরিজে ৫-১ ফলে জয় পেল ভারতীয় দল।


আজ টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন ভারতের অধিনায়ক। ভারতীয় দল আগেই সিরিজ জিতে গিয়েছিল। ফলে এই ম্যাচের আপাত কোনও গুরুত্ব ছিল না। ভারত ৫-১ ফলে সিরিজ জিততে পারে কি না, আগ্রহ ছিল শুধু সেটা নিয়েই। এই ম্যাচে ভারতীয় দলে একটি বদল হয়। ভুবনেশ্বর কুমারের বদলে দলে আসেন শার্দুল। এই বদলটাই ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিল। ৫২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন শার্দুল। তিনি শুরুতেই হাশিম আমলা (১০) ও দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এইডেন মার্করামকে (২৪) ফিরিয়ে দেন। পরে তিনি ফারহান বেহারদিন (১) ও অ্যান্ডিল ফেলুকওয়ায়োকেও (৩৪) ফিরিয়ে দেন।

শার্দুলের পাশাপাশি জসপ্রীত বুমরাহ, যুজবেন্দ্র চাহল, কুলদীপ যাদব, হার্দিক পাণ্ড্যরাও ভাল পারফরম্যান্স দেখান। বুমরাহ ও চাহল দু’টি করে এবং কুলদীপ ও পাণ্ড্য একটি করে উইকেট নেন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন খায়া জন্ডো। এবি ডিভিলিয়ার্স করেন ৩০ রান। দক্ষিণ আফ্রিকা ৪৬.৫ ওভারে ২০৪ রানে অলআউট হয়ে যায়।


রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই রোহিত শর্মার (১৫) উইকেট হারায় ভারত। শিখর ধবনও (১৮) বড় রান করতে পারেননি। তবে বিরাট দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন। তাঁর সঙ্গে অপরাজিত থাকেন অজিঙ্ক রাহানে (৩৪)।

ভারতীয় দল- শিখর ধবন, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), অজিঙ্ক রাহানে, শ্রেয়াস আয়ার, মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, হার্দিক পাণ্ড্য, শার্দুল ঠাকুর, কুলদীপ যাদব, জসপ্রীত বুমরাহ ও যুজবেন্দ্র চাহল।

দক্ষিণ আফ্রিকা দল- হাশিম আমলা, এইডেন মার্করাম (অধিনায়ক), এবি ডিভিলিয়ার্স, খায়া জন্ডো,ফারহান বেহারদিন, হেইনরিখ ক্লাসেন, ক্রিস মরিস, অ্যান্ডিল ফেলুকওয়ায়ো, ইমরান তাহির ও মর্নি মর্কেল।