নয়াদিল্লি:  সত্যিই অবিশ্বাস্য!  চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে প্রথম। রুপান্তরকামী এক মহিলা ছ সপ্তাহ ধরে স্তন্যপান করালেন নিজের শিশুকে।

মাউন্ট সিনাইয়ের ইকাহান স্কুল অফ মেডিসিনের চিকিৎসকদের দাবি, একজন রুপান্তরকামী মহিলা এই প্রথম সফলভাবে তাঁর শিশুকে স্তন্যপান করালেন। তিরিশ বছরের ওই মহিলা, সাড়ে তিন মাস ধরে একটি স্বাস্থ্যবিধির মধ্যে দিয়ে যান যেগুলোকে বলা হয় ডোম্পারডিনো, এস্ট্রাডিওল, প্রজেস্টারোন এবং ব্রেস্ট পাম্পিং।

এই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ফলে, মহিলার স্তন্যে যথেষ্ট পরিমাণের দুধ আসে এবং সেটাই তিনি তাঁর শিশুকে জন্মের পর ছ সপ্তাহ ধরে খাওয়ান। এই ঘটনার কথা ট্রান্সজেন্ডার হেল্থ-এর জার্নালে প্রকাশ করা হয়েছে।

মহিলা জানিয়েছেন, তাঁর পার্টনার অন্তঃসত্ত্বা হলেও, সে স্তন্যদানে রাজি ছিলেন না। নিজের সন্তানকে স্তন্যদান করার সিদ্ধান্ত নেন এই রুপান্তরকামী মহিলা। গত ছ বছর ধরে এই মহিলার হরমোন থেরাপি চলেছে। এছাড়া ইন্সোমনিয়া এবং মানসিক চাপমুক্তির জন্যেও তাঁর চিকিত্সা হয়েছে। এই চিকিত্সা ছাড়া জেন্ডার রিঅ্যাসাইনমেন্ট সার্জারি, ব্রেস্ট অগুমেন্টেশন এবং ভ্যাজাইনোপ্লাস্টি করাননি ওই ব্যক্তি।

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রজেস্টারোন এবং এস্ট্রাডায়োল হরমোনের চিকিত্সা এবং ওই ব্যক্তির বুকে ব্রেস্ট পাম্প করার পরই দুধ তৈরি হতে শুরু করে। একমাস পরই বিন্দু বিন্দু দুধ তৈরি হতে দেখা যায়। তিন মাস পর ৮ আউন্স দুধ তৈরি হয়। বাচ্চার জন্মের পর সে পরবর্তী ছ সপ্তাহের জন্যে মাতৃদুগ্ধ পর্যাপ্ত ছ সপ্তাহের জন্যে পায়। তারপর ধীরে ধীরে দুধের পরিমাণ কমতে থাকে।