কলকাতা: টিম ইন্ডিয়ার জার্সি হোক বা কলকাতা নাইট রাইডার্স কিংবা বাংলা দল, ক্রিকেটের বাইশ গজে বহু স্মরণীয় ইনিংস রয়েছে তাঁর। যদিও এবার সম্পূর্ণ অচেনা মাঠে ব্যাট করতে নেমেছেন। রাজনীতির ময়দানে পরেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের জার্সি। আর রাজনীতিতে সদ্য যোগ দেওয়ার পরই তাঁকে হাওড়ার শিবপুর কেন্দ্রে টিকিট দিয়েছে দল। রবিবার 'ডি ডে'। ভোটগণনা। তার আগের দিন কেমন কাটল মনোজ তিওয়ারির?


এক সময় জাতীয় দলের হয়ে খেলা ক্রিকেটার এবিপি লাইভকে বললেন, 'আলাদা কিছু নয়। আর পাঁচটা দিনের মতোই কাটল। সকালে একটা দলীয় বৈঠক ছিল। সেটা সেরে ফিরে বাড়িতেই রয়েছি। পরিবারের সঙ্গে, ছেলে য়ুভানের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছি।'


ফল ঘোষণার আগের দিন স্নায়ুর চাপ টের পাচ্ছেন না? মনোজ বলছেন, 'ক্রিকেটের মাঠে প্রস্তুতি ভালভাবে না নিলে, পরিশ্রম না করলে, উদ্বেগ থাকে। ফলাফল নিয়ে নিশ্চিত না হলে স্নায়ুর চাপে ভোগার ব্যাপার থাকে। আমাদের প্রস্তুতি দুর্দান্ত হয়েছিল। প্রচুর পরিশ্রম করেছি। শুধু আমি নয়, গোটা দল। তাই জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। গলা শুনেই বুঝতে পারবেন। মানুষের দরজায় দরজায় গিয়েছি। সকলে আমাকে গ্রহণ করেছেন। শিবপুর কেন্দ্রে শুধু নয়, গোটা রাজ্যে লক্ষ লক্ষ মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছেন। মানুষের এই অভূতপূর্ব সাড়া আমাদের জয়ের ব্য়াপারে প্রত্যয়ী করে তুলেছে।'


মনোজ বলছেন, 'মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়েছি। লোকজন সেলফি তুলেছেন, কেউ মালা পরিয়েছেন। সকলেই পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। আত্মবিশ্বাসও বেড়েছে।' ফল প্রকাশের আগের দিন পুজো দিলেন? মনোজ বলছেন, 'একদিন দক্ষিণেশ্বরে গিয়েছিলাম। বাড়িতেই পুজো হয়। এছাড়া আবাসনে শিবমন্দির ও মা কালীর মূর্তি রয়েছে। পুজো দিই। করোনা আবহে বাইরে যাওয়া হচ্ছে না। পুজো প্রত্যেক দিনই করি।' হেসে যোগ করছেন, 'শুধু কাজের সময় ভগবানকে ডাকলে হয় না। প্রত্যেক দিনই আমি বা সুস্মিতা পুজো করি। আর মানুষের পাশে সারা বছর থাকতে হবে। ঈশ্বরও সব দেখছেন। রবিবার সকালেই গণনাকেন্দ্রে পৌঁছে যাব। এক ইঞ্চিও জমি ছাড়া চলবে না।'


ভোটের মরসুমেই আইপিএল। মনোজ বলছেন, 'আইপিএলের খুব একটা খবর রাখা হচ্ছে না। বাংলায় ধারাভাষ্য দেওয়ার ও বিশেষজ্ঞ হিসাবে মতামত দেওয়ার প্রস্তাব ছিল। সময় পাইনি। তাই করিনি। তবে কলকাতা নাইট রাইডার্সের অবস্থা খুব একটা ভাল নয় সেটা জানি।' 


দেশ তথা বাংলার করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। মনোজ বলছেন, 'মানুষ জানে কী করতে হবে। তবু অনুরোধ করব, নিয়ম মেনে চলুন। সব ধরনের সাবধানতা অবলম্বন করুন। ডাবল মাস্ক পরুন। ফ্যান্সি মাস্ক নয়, বিজ্ঞানসম্মত মাস্ক পরুন। স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। পারলে ফেস শিল্ড পরুন। প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এমন খাবার খান। খেলার মাঠে বলি, আমাদের হাতে যা রয়েছে, সেটা করব। সেরকমই আমাদের নিয়ন্ত্রণে যেটুকু রয়েছে, সেটুকু করুন। মানুষ সতর্ক থাকলেই করোনাকে রুখে দেওয়া সম্ভব।'