কলকাতা: রাঁচিতে রানের ফুলঝুরি ছুটিয়ে শনিবার দুপুরে কলকাতায় পৌঁছচ্ছেন রোহিত শর্মা-কে এল রাহুলরা। ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকেরা শুনলে উচ্ছ্বসিত হতে পারেন যে, ইডেনেও ব্যাটিং ঝড়ের পূর্বাভাস রয়েছে।


এমনিতেই ইডেন রোহিত শর্মার পয়া মাঠ। এই মাঠে অনবদ্য সব ব্যাটিং কীর্তি রয়েছে হিটম্যানের। ওয়ান ডে ক্রিকেটে বিশ্বের সর্বোচ্চ ২৬৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন রোহিত। সেটাও পয়মন্ত ইডেনেই। রবিবারও রোহিতের ব্যাটে ঝড় ওঠার মতো মশলা থাকতে পারে ইডেনের বাইশ গজে।


ইডেনে গত কয়েক বছর ধরেই পিচের চরিত্র বদলে গিয়েছে। বাইশ গজ আর আগের মতো মন্থর নেই। বরং পিচে বল পড়ে দ্রুত ব্যাটে আসবে। পেসাররা বাড়তি বাউন্স পাবেন। বড় রানের ম্যাচ হবে বলে পূর্বাভাস দিচ্ছেন ইডেনের কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়ও। রবিবাসরীয় ইডেনে তাই রোহিত শর্মা-মার্টিন গাপ্টিলদের ব্যাটে চার-ছক্কার বন্যা বইতে পারে।


ইডেনে (Eden Gardens) রবিবার টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ। উইকেট তৈরির কাজ তত্ত্বাবধান করার জন্য কলকাতায় রয়েছেন বোর্ডের পিচ কমিটির পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান আশিস ভৌমিক। ম্যাচের ফাঁকে শিশির নিরোধক স্প্রে ব্যবহার করা হবে। যা ঘাসের ওপর একটা আস্তরণ তৈরি করে দেবে। তাই শিশির ঘাসের পাতায় জমা হবে না। গড়িয়ে পড়ে যাবে। অনেকটা কচু বা পদ্মপাতার মতো। ম্যাচের ফাঁকে বারবার দড়ি ব্যবহার করে ঘাসের নীচে জমে থাকা জল শুষে নেওয়ার চেষ্টা হবে। তাতে ভিজে বলের সমস্যা কিছুটা এড়ানো যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।


রবিবার ইডেন বেল বাজিয়ে ম্যাচের সূচনা করবেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। শুক্রবারই তিনি ইডেনে গিয়ে পিচ পর্যবেক্ষণ করেন। সিএবি কর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকও করেন।


শনিবার দুপুরে শহরে আসছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলও। ভারত রাঁচিতেই সিরিজ জিতে গিয়েছে। শনিবার তাই ভারতীয় ক্রিকেটারেরা আর কেউই অনুশীলন করবেন না। নিউজিল্যান্ড টি-টোয়েন্টি দলের সঙ্গেই কেন উইলিয়ামসন-সহ টেস্ট দলের সকলেই আসছেন কলকাতায়। রবিবার সল্ট লেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে প্র্যাক্টিস করবেন তাঁরা। জৈব সুরক্ষা বলয়ের কড়াকড়ির জন্য যাদবপুর মাঠে বাইরের কারও প্রবেশাধিকার থাকছে না। এমনকী, রাস্তা থেকেও যাতে কেউ প্র্যাক্টিস দেখার জন্য ভিড় না জমান, সেই কারণে কাপড় দিয়ে ঘিরে ফেলা হচ্ছে মাঠ।