কলকাতা: সুদীপ চট্টোপাধ্যায়কে অধিনায়ক করে ঘরোয়া ক্রিকেটে মরসুমের প্রথম টুর্নামেন্ট সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টির দল ঘোষণা করে দিল সিএবি। তবে বাংলা দলকে সুদীপের নেতৃত্ব দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরিই হতো না, যদি দায়িত্ব নিতে রাজি হয়ে যেতেন ঋদ্ধিমান সাহা!


আসন্ন সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টিতে বাংলাকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সদ্য আইপিএল খেলে ফেরা ঋদ্ধিমানকে প্রস্তাব দিয়েছিল সিএবি। শোনা যাচ্ছে, টিম ম্যানেজমেন্ট অধিনায়ক হিসাবে চেয়েছিল ঋদ্ধিকে। কিন্তু রাজি হননি বঙ্গ উইকেটকিপার-ব্যাটার।


ঋদ্ধিমান আগে বাংলাকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। রঞ্জি ট্রফিতেও তিনি বাংলার অধিনায়ক ছিলেন এক সময়। কিন্তু ভারতীয় শিবিরে থাকার জন্য ঋদ্ধিকে ঘরোয়া ক্রিকেট মরসুমে বেশিরভাগ সময়ই পায় না বাংলা। পাশাপাশি ঋদ্ধি নিজে দলকে নেতৃত্বে দিতে আগ্রহী নন। বাংলা শিবিরে নেতৃত্ব নিয়ে টানাপোড়েন তৈরি হওয়ায় আগেও ঋদ্ধিকে অধিনায়ক করার দিকে ঝুঁকেছিলেন বাংলার নির্বাচকেরা। তাঁকে রাজি করানোর চেষ্টা করেছিলেন সিএবি কর্তারাও। কিন্তু ঋদ্ধি কখনওই অধিনায়কত্ব করার ব্যাপারে উৎসাহ দেখাননি। দলের সাধারণ ক্রিকেটার হিসাবেই খেলতে চেয়েছেন। তাই নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অন্য কাউকে।


সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট দিয়ে এবার শুরু হচ্ছে ঘরোয়া ক্রিকেটের মরসুম। সেই টুর্নামেন্টের আগেও ঋদ্ধিকে বাংলার অধিনায়ক হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলেই বিশ্বস্ত সূত্রের খবর। কিন্তু ফের সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন ময়দানে নির্বিবাদী চরিত্র হিসাবে পরিচিত ঋদ্ধি। শেষ পর্যন্ত অধিনায়ক করা হয়েছে সুদীপ চট্টোপাধ্যায়কে।


বাংলার নির্বাচক প্রধান শুভময় দাস এবিপি লাইভকে বললেন, 'আমরা স্থানীয় ক্রিকেটের পারফরম্যান্সে জোর দিয়েছি। সুদীপ বেঙ্গল টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জে অধিনায়ক হিসাবে দারুণ পারফর্ম করেছে।' স্থানীয় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট বেঙ্গল টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ব্যারাকপুর ব্যাশার্স। যে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সুদীপই। অনেকে যাঁকে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফর্ম্যাটের জন্য উপযুক্ত বলে এক সময় মনেই করতেন না।


তবে সুদীপের নেতৃত্বের দায়িত্ব পাওয়ার মধ্যে কাঁটাও রয়েছে। অনেকেই দল ঘোষণা হওয়ার পর প্রশ্ন তুলছেন, কেন অধিনায়ক হিসাবে অনুষ্টুপ মজুমদারের কথা ভাবা হল না। শেষবার রঞ্জি ট্রফিতে যাঁর নেতৃত্বে ফাইনালে খেলেছিল বাংলা। করোনা পরিস্থিতিতে গত মরসুমে রঞ্জি ট্রফি হয়নি। কিন্তু সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বাংলাকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন অনুষ্টুপই। শুভময় বলছেন, 'আমরা ভবিষ্যতের কথা ভেবে দল গড়েছি। রুকু (অনুষ্টুপের ডাকনাম) রঞ্জি ট্রফির নকশায় ভাল মতোই রয়েছে।' কিন্তু তাও প্রশ্ন উঠছে, সাধারণ ক্রিকেটার হিসাবেও কি দলে সুযোগ পেতেন না অনুষ্টুপ?


সুযোগ পাননি শ্রীবৎস গোস্বামীও। স্থানীয় ক্রিকেটে ভাল পারফরম্যান্সের সুবাদে দলে জায়গা পেয়েছেন অলোক প্রতাপ সিংহ, কর্ণ লাল, আকাশ দীপ, অভিষেক দাসরা।


পুরো দল:


সুদীপ চট্টোপাধ্যায় (অধিনায়ক)


ঋদ্ধিমান সাহা (উইকেটকিপার)


অভিমন্যু ঈশ্বরণ


অভিষেক দাস


কাইফ আমেদ


ঋত্ত্বিক রায়চৌধুরী


রণজ্যোৎ সিংহ খইরা


শাকির হাবিব গাঁধী (উইকেটকিপার)


শুভঙ্কর বল


কর্ণ লাল


শাহবাজ আমেদ


ঋত্ত্বিক চট্টোপাধ্যায়


প্রদীপ্ত প্রামাণিক


সুজিত কুমার যাদব


ঈশান পোড়েল


মুকেশ কুমার


আকাশ দীপ


অলোক প্রতাপ সিংহ


মহম্মদ কাইফ


সায়ন ঘোষ