কলকাতা: বসন্তের সকাল। নীল আকাশ। ঝকঝকে রোদ। সবুজ গালিচার মতো মাঠ। সীমানার ধারে পলাশের সমারোহ। চারপাশে উৎসুক জনতার ভিড়।


চারপাশে খুশির আবহ। আর সেই প্রেক্ষাপটেই ক্রিকেটীয় দ্বৈরথে মেতে উঠল দুই দল। এবিপি অ্যাভেঞ্জার্স ও এবিপি লায়ন্স। মাঠের ভিতরে যুযুধান দুই প্রতিপক্ষই ছিল জয়ের জন্য মরিয়া। বিনা লড়াইয়ে কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়তেও প্রস্তুত ছিল না।


বাঘা যতীন তরুণ সংঘের মাঠে হয়ে গেল এবিপি প্রিমিয়ার লিগ (ABP Premiere League)। বাইশ গজের লড়াইয়ে এবিপি লায়ন্সকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দিল এবিপি অ্যাভেঞ্জার্স। তারা পৌঁছে গেল টুর্নামেন্টের পরের পর্বে।


ম্যাচের আগে দুই দলের ক্রিকেটারদের উৎসাহ দিয়ে যান প্রাক্তন জোরে বোলার শিবশঙ্কর পাল। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবিপি অ্যাভেঞ্জার্সের অধিনায়ক রৌনক। এবিপি লায়ন্সের হয়ে ইনিংস ওপেন করেন জয়া ও পৃথ্বীশ। ২০ বলে ৮ রান করে আউট হন জয়া। তবে ঝোড়ো ব্যাটিং করছিলেন পৃথ্বীশ। ঝকঝকে হাফসেঞ্চুরি করেন তিনি। ২৮ বলে ৫৮ রান করে আউট হন। ৪ রান করে ফেরেন লায়ন্সের অধিনায়ক প্রতীক। চার নম্বরে নেমে ১০ বলে ১৮ রান করেন তরুণ। তবে মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা বড় রান পাননি। সঞ্জীব (৪) ও ভাস্কর (১) অল্প রানে ফেরেন। গৌতম ও তন্ময় আউট হন কোনও রান না করে। সৌম্যজিৎ ২ রান করেন। সন্দীপ ২ বলে ১২ রান করে অপরাজিত ছিলেন। মনোজিৎ কোনও রান না করে অপরাজিত ছিলেন। নির্ধারিত ১২ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩১ রান তোলে এবিপি লায়ন্স।


এবিপি অ্যাভেঞ্জার্সের হয়ে ৪ উইকেট নেন মৈনাক। আমন ও সুব্রত দু’টি করে উইকেট নিয়েছেন।


জবাবে ব্য়াট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় এবিপি অ্যাভেঞ্জার্স। কোনও রান না করে ফিরে যান দ্যুতি। তবে এরপর ইনিংসের হাল ধরেন সিদ্ধার্থ ও সন্দীপ। ৩৫ রান করে ফেরেন সন্দীপ। রৌনক ফেরেন তিন রান করে। তবে সিদ্ধার্থকে টলানো যায়নি। মাত্র ২৮ বলে ৭২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করেন সিদ্ধার্থ। তাঁর সঙ্গে ১৩ রানে ক্রিজে ছিলেন মৈনাক। ৯ ওভারের মধ্যে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের রান তুলে নেয় এবিপি অ্যাভেঞ্জার্স। ৭ উইকেটে ম্যাচ জেতে তারা। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোনোজিৎ, পৃথ্বীশ ও তরুণ। ম্যাচের সেরা হয়েছেন মৈনাক।