কলকাতা: রবিবাসরীয় সকালে কলকাতা ম্যারাথন মাতিয়ে দিলেন সচিন তেন্ডুলকর। তিনিই ছিলেন এই ম্যারাথনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। প্রতিযোগীদের উৎসাহ দিতে সাতসকালেই হাজির হন সচিন। বছরের প্রথম ম্যারাথন ঘিরে প্রতিযোগীদের আগ্রহ ছিল চোখে পড়ার মতো৷

সচিন এলেন, দেখলেন, জয় করলেন৷ রবিবাসরীয় কাকভোরে তখন কলকাতা শীতে জবুথবু হয়ে চাদরের তলায় ছুটির মেজাজে৷ দিনের আলো ফোটেনি তখনও৷ মঞ্চে এলেন দুধ সাদা টি শার্ট ও জিন্স পরে৷ ম্যারাথনে অংশগ্রহণকারী পোড়খাওয়া অ্যাথলিটরাও দৌড় শুরুর আগে তাঁর দিকেই তাকিয়ে৷ ম্যারাথনের পর ১০ কিমি দৌড় বা ৫ কিমি দৌড়ের প্রতিযোগীরা দৌড় ভুলে ভিড় জমিয়েছিলেন সচিনের একটু স্পর্শ পাওয়ার জন্য৷ কাকভোরে ঘুম থেকে ওঠায় ক্লান্তি নেই৷ বরং সচিন ভক্তদের মোবাইল ফোন নিয়েই তুললেন একের পর একে সেলফি৷ এদিন রেড রোড যেন সকাল থেকেই ছিল সচিনময়৷

কলকাতার মানুষের আগ্রহ দেখে খুশি সচিন৷ তিনি বলেছেন, ‘প্রতিযোগীদের শুভেচ্ছা। এত সকালে ঘুম থেকে উঠে ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করেছেন৷ কারণ, আজ বেশ ঠান্ডা। তাই এত সকালে আসা বেশ কঠিন৷ হাজার হাজার প্রতিযোগীদের দেখে বেশ ভাল লাগছে৷ এত মহিলা যোগ দিয়েছেন এই ম্যারাথনে৷ এটা দেখে দারুণ লাগছে। প্রতিমূহূর্তে তাঁরা চাইছিলেন আরও ভাল কিছু করতে৷ পরের বছর আশা করি আরও উন্নতি করবেন৷’

এদিন ম্যারাথনে প্রথম হন শিলিগুড়ির অ্যাথলিট আবুল হোসেন৷ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন সচিন৷