মেলবোর্ন: ইংল্যান্ড বনাম আয়ার্ল্যান্ড (England vs Ireland) ম্যাচে বৃষ্টি বাদ সাধলেও ফয়সালা হয়েছিল। কিন্তু বুধবার মেলবোর্নে দ্বিতীয় ম্যাচে কপাল পুড়ল নিউজিল্যান্ডের। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে নিউজিল্যান্ডের (Afghanistan vs NewZealand) ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে গেল। এক বলও খেলা হল না। দুই দল পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নিতে বাধ্য হল।


পয়েন্ট নষ্ট হলেও অবশ্য গ্রুপ ওয়ানে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেই রইল নিউজিল্যান্ড। ২ ম্যাচের পর কেন উইলিয়ামসনদের পয়েন্ট দাঁড়াল ৩। অস্ট্রেলিয়াকে প্রথম ম্যাচে হেলায় হারিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। যে কারণে তাদের নেট রান রেটও বেশ ভাল। +৪.৪৫০। গ্রুপে দুই নম্বরে শ্রীলঙ্কা। তারা দুটি ম্যাচের একটিতে জিতেছে। হার এক ম্যাচে। ইংল্যান্ড ২ ম্যাচের একটিতে জিতে আর একটি হেরে ২ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে। পয়েন্ট সমান হলেও নেট রান রেটে পিছিয়ে থাকায় চার নম্বরে আয়ার্ল্যান্ড। ২ পয়েন্ট নিয়ে অস্ট্রেলিয়া রয়েছে পাঁচ নম্বরে। এক পয়েন্ট নিয়ে আফগানিস্তান সকলের নীচে। গ্রুপের সেরা দুটি করে দল সরাসরি সেমিফাইনালে যাবে।


পরাস্ত ইংল্যান্ড


টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অন্যতম ফেভারিট মনে করা হচ্ছে তাদের। অথচ বিশ্বকাপের শুরুতেই বিরাট ধাক্কা খেল ইংল্যান্ড। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে তাদের ৫ রানে হারিয়ে দিল আয়ার্ল্যান্ড (England vs Ireland)।


১১ বছর আগেও এভাবেই ক্রিকেটের বাইশ গজে ইংল্যান্ডকে ধাক্কা দিয়েছিল আয়ার্ল্যান্ড। সেবার ভারতের মাটিতে আয়োজিত হয়েছিল ওয়ান ডে বিশ্বকাপ। বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করে তুলেছিল ৩২৮। সেই পাহাড়প্রমাণ রান তাড়া করে ম্যাচ জিতেছিল আয়ার্ল্যান্ড। যে জয় আইরিশ ক্রিকেটের অন্যতম সেরা সাফল্য হয়ে রয়েছে।


বুধবার মেলবোর্নে সেই স্মৃতি ফেরালেন অ্যান্ডি বলবার্নি, পল স্টার্লিংরা। জস বাটলারদের ৫ রানে হারিয়ে দিল আয়ার্ল্যান্ড। বৃষ্টির আশঙ্কা ছিলই। যে কারণে টস জিতে প্রথম ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইংল্যান্ড। যাতে লক্ষ্য বুঝে তারপর ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মের অঙ্ক কষে রান তাড়া করা যায়। কিন্তু তাতেই কপাল পুড়ল ইংরেজদের।


প্রথমে ব্যাট করে আয়ার্ল্যান্ড ১৫৭ রানে অল আউট হয়ে যায়। আইরিশদের ইনিংসের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্তভাবে। পল স্টার্লিং ৮ বলে ১৪ রান করে ফিরলেও, ইনিংসের হাল ধরে নেন বলবার্নি। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করেন লোরকান টাকার। দ্বিতীয় উইকেটে দুজনে ৫৭ বলে ৮২ রান যোগ করেন। লিয়াম লিভিংস্টোনের বলে অ্যালেক্স হেলসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ৪৭ বলে ৬২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে যান বলবার্নি। ২৭ বলে ৩৪ রান করে ফেরেন টাকার। ১২ ওভারে বোর্ডে ১০৩ রান তুলে ফেলে আয়ার্ল্যান্ড। যদিও এর পরেই প্রত্যাঘাত করেন ইংরেজ বোলাররা। টাকার রান আউট হয়ে যান। মার্ক উড পরপর ফিরিয়ে দেন হ্যারি টেক্টর ও কার্টিস ক্যাম্পহারকে। চার বল বাকি থাকতেই ১৫৭ রানে অল আউট হয়ে যায় আয়ার্ল্যান্ড। 


রান তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ডের স্কোর তখন ১৪.৩ ওভারে ১০৫/৫, বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে দেখা যায়, প্রয়োজনীয় স্কোরের চেয়ে ৫ রান পিছিয়ে রয়েছে ইংল্যান্ড। তাই আয়ার্ল্যান্ডকে ৫ রানে জয়ী ঘোষণা করা হয়।


আরও পড়ুন: ফেভারিট ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপে বড়সড় অঘটন আইরিশদের