নয়াদিল্লি: পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার শাহিদ আফ্রিদির বয়স নিয়ে জল্পনা দীর্ঘদিনের। যা দেখানো হয়, তার থেকে বেশি বয়স আফ্রিদির, এমনই একটা ধারণা ছিল ক্রিকেট মহলে। অবশ্য নিজের বয়স সংক্রান্ত রহস্যের অবসান ঘটালেন খোদ আফ্রিদিই। জানালেন যে, অফিসিয়াল নথিতে তাঁর জন্মের বছর ১৯৮০ দেখানো হলেও তিনি আসলে জন্মেছিলেন, এর পাঁচ বছর আগে ১৯৭৫-এ।
নিজের আত্মজীবনীতে বয়স নিয়ে রহস্যের অবসান ঘটিয়েছেন তিনি। এর অর্থ, ১৯৯৬-তে নাইরোবিতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তিনি যখন রেকর্ড ভেঙে ৩৭ বলে শতরান করেছিলেন, তখন তাঁর বয়স মোটেই ১৬ ছিল না।
কিন্তু জন্মের বছর জানালেও আফ্রিদির আত্মজীবনীতেও বয়স নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েই গিয়েছে। 'গেম চেঞ্চার' নামে আত্মজীবনীতে আফ্রিদি বলেছেন, নাইরোবিতে ওই শতরান করার সময় তাঁর বয়স ছিল ১৯, ১৬ বছর বয়স বলে যে দাবি করা হয়েছিল, তা ঠিক নয়। আসলে কর্তৃপক্ষ আমার ঠিকঠাক বয়সটা জানায়নি।
কিন্তু ১৯৭৫-এ জন্ম হলে ১৯৯৬-তে তাঁর বয়স হওয়ার কথা ২১।
পাকিস্তানের হয়ে আফ্রিদি ২৭ টেস্ট, ৩৯৮ একদিন ও ৯৯ টি ২০ ম্যাচ খেলেছেন।
২০১৬-র টি ২০ বিশ্বকাপের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন তিনি।
তাঁর আত্মজীবনীতে পাকিস্তানের প্রাক্তন বোলার ওয়াকার ইউনিসকে একহাত নিয়েছেন আফ্রিদি। ২০১৬-তে যখন ভারতে টি ২০ বিশ্বকাপ হয়, তখন পাক দলের কোচ ছিলেন ইউনিস।
আফ্রিদি বলেছেন, অতীত আঁকড়ে থাকানে ওয়াকার। অধিনায়কত্ব নিয়ে ওয়াসিমের সঙ্গে ঝামেলার পর থেকে তাঁর সঙ্গে ওয়াকারের ঝামেলার সূত্রপাত। আফ্রিদি অধিনায়ক ও কোচ হিসেবে ওয়াকারের সমালোচনা করেছেন।