২০০৭ সাল থেকে ভারত, পাকিস্তান কেউ কারও দেশে দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট খেলতে যাচ্ছে না। ভারতের মাটিতে পাকিস্তান থেকে সন্ত্রাস বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানের সঙ্গে টেস্ট, একদিনের সিরিজ খেলার প্রশ্নই নেই, এটাই অবস্থান ভারতের।
নিজের কলামে প্রাক্তন পাক অধিনায়ক তথা অলরাউন্ডার লিখেছেন, সত্যিই আশা করি, দুটি দেশ আবার নিজেদের মধ্যে ক্রিকেট খেলবে। ভারত সরকার, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে এ ব্যাপারে অবস্থান নরম মনোভাব দেখানোর আবেদন করছি। ২০১১ সালে মোহালিতে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে পাকিস্তানের অধিনায়ক ছিলাম। খেলার কী গুরুত্ব, কী করে তা পরস্পরের প্রতি সৌহার্দ্য, সম্প্রীত, সহনশীলতার বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি দুটি দেশকে স্তব্ধ করে দিতে পারে, সেটা জানি। দুদেশকে কাছাকাছি এনে উত্তেজনা কমানোর আসল উত্স হতে পারে ক্রিকেট।
কালকের ম্যাচের প্রসঙ্গে আফ্রিদির মত, লিগ পর্যায়ে ভারত সব বিভাগেই পাকিস্তানকে মাত করে দিয়েছে, কিন্তু পাকিস্তান যে কোনও বড় ম্যাচে অঘটন ঘটিয়ে তাক লাগিয়ে দিতে পারে। লন্ডন ওভালে কাল মহাকাব্যিক লড়াইয়ের সময় আমরা রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনায় মূহূর্ত গুনব। কেননা পাকিস্তান যে কখন কী করে ফেলবে, আগে বলা যায় না, শেষ পর্যন্ত হার না মানার নাছোড় মনোভাব নিয়ে খেলে।
কালকের ম্যাচ পাক অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদের সামনে 'চিরকালের মতো দাগ' রেখে যাওয়ার 'ঈশ্বরপ্রদত্ত সুযোগ' এনে দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান এখনও অধিনায়কত্বের শৈলী শিখছে বটে, কিন্তু টুর্নামেন্টের প্রতিটি খেলায় নেতা হিসাবে নিজেকে মেলে ধরছে। সরফরাজকে আমার বলার কথা একটাই, কোনও ভয় পেও না। সাহসের সঙ্গে আন্তরিক থেকে সিদ্ধান্ত নাও।
ভারতের ব্যাটিংকেই কাল পাকিস্তানের সামনে সবচেয়ে বড় বাধা বলে মনে করছেন আফ্রিদি।