নয়াদিল্লি: পাক ক্রিকেট টিমের অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদের মামা ভারতের মানুষ। মেহবুব হাসান নামে ওই ভদ্রলোক উত্তরপ্রদেশের এটাওয়ার সরকার পরিচালিত কৃষি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের হেড ক্লার্ক। ভাগ্নের সঙ্গে ফোনে মামুর নিয়মিত কথাবার্তা হয়।


৫২ বছরের মেহবুব ভারতে থাকলেও তাঁর দিদি ও সরফরাজের মা আকিলা বানুর পরিবার পাকিস্তানের বাসিন্দা। তবে সরফরাজ ও তাঁর দাদা সফিকের সঙ্গে মামার সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর। মেহবুব ও তাঁর পরিবার স্বাভাবিকভাবেই ভারতের সমর্থক, তাই সরফরাজ ফোনে মামার পিছনে লাগতে ছাড়েন না। মেহবুব বলেন, ভারত সব সময় পাকিস্তানকে হারাবে আর প্রতিবার সরফরাজ বলেন, ইস বার তো জরুর হারেঙ্গে আপ লোগ। কিন্তু তা আর হয় না।

কলেজের স্টাফ কোয়ার্টারেই সপরিবারে থাকেন মেহবুব। ছেলে সলমন কলেজে পড়েন। সলমনের ফোন দাদা সরফরাজের সঙ্গে ছবিতে ভর্তি হলেও তাঁর প্রিয় খেলোয়াড় মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। মেহবুবের মনে পড়ে ১৯৯১-এ তাঁর বিয়েতে বাবা মায়ের সঙ্গে ভারতে এসেছিলেন সরফরাজ। তখন তিনি ভীষণ দুষ্টু ছিলেন।

সেদিনের সেই দুরন্ত বাচ্চা কখন কীভাবে প্রতিবেশী দেশের ক্রিকেট টিমের ক্যাপ্টেন হয়ে গেল ভাবতে মেহবুবের অবাক লাগে। তিনি জানিয়েছেন, এই জায়গায় পৌঁছতে সরফরাজ কঠোর পরিশ্রম করেছেন, তিনি অত্যন্ত নম্র ও বাধ্য। ২০১৫-য় সরফরাজের বিয়েতে করাচি যান তাঁরা। তখন পাক টিমের সব ক্রিকেটারের সঙ্গে ভাগ্নে মামুর আলাপ করিয়ে দেন।

গতবার যখন টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে পাকিস্তানি টিম ভারতে আসে, তখন মোহালিতে ম্যাচের আগে সরফরাজের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। সে কথা মামার স্মৃতিতে উজ্জ্বল হয়ে আছে।