কলকাতা: চন্দননগরের দুই ক্রিকেটারের কীর্তি রঞ্জি সেমিফাইনালের নাটকীয় পট পরিবর্তন ঘটিয়ে দিল। ব্যাট হাতে অনুষ্টুপ মজুমদার দুরন্ত সেঞ্চুরি ৬৬/৭ হয়ে যাওয়া বাংলার লড়াই করার মঞ্চ তৈরি করে দিয়েছিল। প্রথম ইনিংসে উঠেছিল ৩১২ রান। আর সেই শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে বল হাতে ভেল্কি দেখালেন ঈশান পোড়েল। ৩৯ রানে পাঁচ উইকেট নিয়ে বাংলা শিবিরে ১৪ বছর পর রঞ্জি ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন আরও গাঢ় করে তুললেন ডানহাতি পেসার। কর্নাটকের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে গেল মাত্র ১২২ রানে। ঘটনাচক্রে সেমিফাইনালে এখনও পর্যন্ত বাংলার দুই নায়কই চন্দননগরের।

শনিবারের ২৭৫/৯ স্কোর নিয়ে খেলা শুরু করে রবিবার সকালে আরও ৩৭ রান যোগ করে বাংলা। ঈশান পোড়েলকে (৭ রান) ফেরান রনিত মোরে। যবনিকা পড়ে বাংলার ইনিংসের। অনুষ্টুপ ১৪৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। কর্নাটকের বোলারদের মধ্যে ৩টি করে উইকেট অভিমন্যু মিঠুন ও রনিতের।

ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় কর্নাটক। ইনিংসের প্রথম ওভারেই কর্নাটকের ওপেনার আর সমর্থকে (০ রান) ফেরান ঈশান। চন্দননগরের পেসার নিজের দ্বিতীয় ওভারেই তুলে নেন প্রতিপক্ষ অধিনায়ক করুণ নায়ারের (৩ রান) উইকেট। আকাশ দীপের বলে ফেরেন কৃষ্ণমূর্তি সিদ্ধার্থ (১৪ রান)। তবে কর্নাটক ইনিংসের কোমর ভেঙে দেন মুকেশ কুমার। তাদের প্রধান দুই ব্যাটসম্যান - জাতীয় দলের তারকা মণীশ পাণ্ডে (১২ রান) ও কে এল রাহুলকে (২৬ রান) পরপর ফিরিয়ে দেন ডানহাতি পেসার। শেষের দিকে কর্নাটকের দুই টেল এন্ডার কে গৌতম (৩১ রান) ও মিঠুন (২৪ রান) ব্যাট হাতে প্রতিরোধ গড়ে না তুললে কর্নাটক একশোর গণ্ডি পেরত কি না প্রশ্ন রয়েছে। শেষ পর্যন্ত ৩৬.২ ওভারে শেষ হয় কর্নাটকের ইনিংস। বাংলা ১৯০ রানের লিড নেয়।



দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৭২ রানে চার উইকেট হারিয়েছে বাংলা। তবে আশার কথা, ক্রিজে আছেন প্রথম ইনিংসের নায়ক অনুষ্টুপ। সঙ্গে সুদীপ চট্টোপাধ্যায় ৪০ রান করে অপরাজিত। কর্নাটকের চেয়ে ২৬২ রানে এগিয়ে বাংলা। আপাতত চারশো রানের লিড নেওয়ার আশায় বাংলা। তারপর সরাসরি জয়ের জন্য ঝাঁপানোর কথাই ভাবছে টিম ম্যানেজমেন্ট।