ক্রাইস্টচার্চ: নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক সন্ত্রাসবাদী হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। শনিবার তাঁরা নিউজিল্যান্ড ছেড়ে দেশের উদ্দেশে রওনা দিলেন।
ক্রাইস্টচার্চে নারকীয়, ঘৃণ্য জঙ্গি হামলার ভয়াবহ অভিজ্ঞতা পিছনে ফেলে দেশে ফেরার বিমানে ওঠার পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা।
উল্লেখ্য, আজ থেকে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সিরিজের তৃতীয় তথা শেষ টেস্ট শুরু হওয়ার কথা ছিল। গতকাল তাঁরা আল নুর মসজিদে যাচ্ছিলেন। সেই সময়ই দুটি জায়গায় সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়। এর মধ্যে একটি হল আল নুর মসজিদ। ক্রাইস্টচার্চে গতকালের এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণে ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এই ঘটনার পর সিরিজ প্রত্যাহার করা হয়।



পুলিশের কড়া পাহারায় ক্রাইস্টচার্চের হোটেল থেকে টিম বাসে চড়ে বিমানবন্দরে আসেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। পরের কোনও ফ্লাইটে দেশে ফেরার কথা দলের সাপোর্ট স্টাফদের।
গত শুক্রবার লিটন দাস, নইম হাসাম ও স্পিন বোলিং কোট তথা প্রাক্তন ভারতীয় স্পিনার সুনীল যোশী ছাড়া বাংলাদেশ দলের ১৭ জন সদস্য টিম বাসে করে আসছিলেন। সেই সময়ই তাঁরা গুলির শব্দ শুনতে পান। বাসের মধ্যে তীব্র আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তাঁরা। কয়েক মিনিট পর সাহসে ভর করে বাস থেকে নেমে হ্যাগলি ওভাল স্টেডিয়ামের দিকে ছুটতে শুরু করেন তাঁরা।
মসজিদ থেকে তখন মাত্র ৫০ গজ দূরে ছিল টিম বাস। বাস থেকে কীভাবে নিরাপদে নামতে পারবেন, তা ভেবেই উত্কন্ঠিত হয়ে পড়েছিলেন খেলোয়াড়রা। স্টেডিয়ামে পৌঁছলে তাঁদের রাখা হয় ড্রেসিংরুমে। পরে টিম হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের।