কলকাতা: কেরিয়ারের লড়াই শুরু হয়েছিল ট্রেনে চেপেই। আর জবাব দেওয়ার লড়াইও শুরু হল ট্রেনে। পুনের অধিনায়কত্ব হারানোর পর নিজেকে প্রমাণ করার জন্য বিজয় হাজারে ট্রফি খেলতে কলকাতায় এলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। রাতভর ট্রেনে চেপে দুটো বিশ্বকাপজয়ী ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি নামলেন হাওড়া স্টেশনে।
শিকড়ের টানে আবার ফিরে যাওয়া সেই বাস্তবের মাটিতে। যাতে ফেরত যেতে পারেন সম্মানের সেই জমিতে। কেরিয়ারের শুরু-তে ঘড়ি ছিল তাঁর লড়াইয়ের অঙ্গ। আজও জবাব দিতে তিনি কতটা মরিয়া তা জানান দিল সকালের হাওড়া স্টেশনের এই ঘড়িটা।
হাওড়া-হাথিয়া এক্সপ্রেস থেকে তিনি নেমে এলেন। রোদ না থাকলেও চোখে রোদ চশমা। কিন্তু আজ বোধহয় নিজের চোখের ভাষাটা কাউকে বুঝতে দিতে চাইছিলেন না ধোনি।
দুদিন আগেই পুণে ফ্র্যাঞ্চাইজ তাঁকে সরিয়ে দিয়েছে অধিনায়ক হিসেবে.. এরপর বিজয় হাজারে ট্রফিতে কলকাতায় খেলতে আসার আগে ঝাড়খন্ড ক্রিকেট সংস্থা তাঁকে বলেছিল তিনি ফ্লাইটে আসতে চান কীনা। মাহি জানিয়ে দেন তিনি ট্রেনেই আসতে চান দলের বাকি ক্রিকেটারদের সঙ্গে।
মঙ্গলবার রাত ৯.৩০ টায় রাঁচি থেকে ট্রেনে চাপেন। দলের ক্রিকেটাররা ছাড়াও তাঁর সঙ্গী ছিলেন কয়েকজন বন্ধু। রাত ১১ টা ১৫ য় ট্রেন থামে মুড়ি স্টেশনে। বন্ধুদের চা এনে চাওয়াতে বলেন মাহি। ট্রেনে কিশোর কুমারের গান শুনতে শুনতে রাত বেজে যায় ৩ টে।
মাত্র চার ঘন্টার ঘুমের পর হাওড়া স্টেশনে নেমে কঠোর নিরাপত্তাবলয় পেরিয়ে গাড়িতে উঠে ধোনি রওনা দেন টিম হোটেলের দিকে।
টেস্টে ১ নম্বরের সিংহাসন, বিশ্বকাপ ক্রিকেট, টি-২০ বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতা ভারতের সর্বকালের সেরা অধিনায়ককে সরিয়ে দিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজ ক্রিকেটের কঠিন দুনিয়া।
তার ঠিক দুদিন পরেই লড়াই শুরু নিজেকে আরেকবার প্রমাণ করার। খড়গপুরের রেল স্টেশন থেকেই শুরু হয়েছিল কেরিয়ার। ফের সেই রেল সফর দিয়েই লড়াইয়ে ফেরার চেষ্টা এম এস ডি-র।
এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু তুলে দিতে এসেছিলেন রাঁচি স্টেশনে। ধোনি বলেছেন জীবনটা ৩ ঘন্টার সিনেমা নয়। রুপোলি পর্দায় তাঁকে যারা দেখেছেন, বাকি গল্পটা তাঁদের জন্য অপেক্ষা করছে আইপিএল ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-তে।