কলকাতা: শরীর ভাল না থাকায় আগেই সরে দাঁড়িয়েছিলেন। এবার এআইএফএফের সচিবের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন কুশল দাস। ২০১০ সালে যোগ দিয়েছিলেন সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনে (AIFF)। সচিব হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন সেই বছরই। এরপর গত ২০ জুন শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ছুটিতে চলে গিয়েছিলেন কুশল দাস। এবার ইস্তফা দিলেন তিনি। তবে কুশল দাসের (Kushal Das) সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তে অনেক প্রশ্ন উঠে আসছে।


সবসময় বিতর্কের কেন্দ্রে কুশল দাস


সম্প্রতি সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনে তীব্র ডামাডোল চলছে। আর্থিক দুর্নীতির খবরও শোনা যাচ্ছে। এছাড়া ফেডারেশনের কর্মকর্তারাই না কি কুশল দাসকে কাজে সহায়তা করছিলেন না। ২০২০ সালে নির্বাচন প্রক্রিয়াও হয়নি। জানা গিয়েছে যে প্রফুল পটেলের নেতৃত্বাধীন কমিটি না কি সেই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় আগ্রহ দেখায়নি। এই টালবাহাল পরিস্থিতির মধ্যেই ভারতীয় ফুটবলের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে হস্তক্ষেপ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সেখান থেকেই তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। তাঁরাই এখন যাবতীয় কিছু দেখভাল করছে।


কুশল দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ


বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা কুশল দাসের বিরুদ্ধে এর আগে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে অভিযোগ আনা হয়েছিল যে, তিনি না কি মদ্য়প অবস্থায় বৈঠকে উপস্থিত হয়েছিলেন। ফেডারেশনের এক মহিলা কর্মীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগও উঠেছিল কুশল দাসের বিরুদ্ধে। যদিও তার কোনও তদন্ত না হলেও কুশল দাসকে ক্লিনচিট দিয়ে দেওয়া হয় ফেডারেশনের তরফ থেকে। উল্লেখ্য এই মুহূর্তে সর্ব ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী সচিব হিসেবে হিসেবে কাজ করছেন লিগ সিইও সুনন্দ ধর।


এর আগে দীর্ঘদিন ধরেই অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনে বিভিন্নবার নানারকম সমস্যার কথা উঠে এসেছে। সম্প্রতি নির্বাচন না হওয়ায় ভেতরে আভ্যন্তরীন কলহের কথাও শোনা গিয়েছিল। এবার কুশস দাস ইস্তফা দেওয়ায় ভারতীয় ফুটবলে প্রফুল-কুশল যুগের সমাপ্তি হল।


আরও পড়ুন: জার্মানিতে সফল অস্ত্রোপচার, নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জানালেন রাহুল