কলকাতা: ডার্বি দেখতে গিয়ে মৃত্যু ইস্টবেঙ্গল সমর্থকের। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু লাল হলুদ সমর্থকের। জানা গিয়েছে, সেই সমর্থকের নাম জয়শঙ্কর সাহা। বয়স হয়েছিল ৩৭ বছর। মাঠ থেকেই দ্রুত তাঁকে আমরি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই ডাক্তাররা সেই ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। 


এদিন ম্যাচের প্রথম থেকে অবশ্য ইমামি ইস্টবেঙ্গল বারবার আক্রমণে তেজ বাড়াচ্ছিল। বাদিক থেকে দোহার্তির উঠে আসা সবুজ মেরুন বাহিনীর চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু সবুজ মেরুনের ডিফেন্সে প্রীতম, শুভাশিসরা ছিলেন বরাবর সজাগ। প্রথমার্ধে অনেকগুলো সুযোগ তৈরি করেও শেষ পর্যন্ত গোলের মুখ খুলতে পারেনি ইমামি ইস্টবেঙ্গল। প্রথমার্ধ গোলশূন্যভাবেই শেষ হয়। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে খেলার শুরুতেই পাল্টা বেগ দেন কাউকো, বুমৌসরা। একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকেন তাঁরা লাল হলুদের বক্সে। খেলার ৫৬ মিনিটের মাথায় হুগো বুমৌসের গোলে এগিয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান। লাল হলুদের ডিফেন্সকে বোকা বানিয়ে বলে সজোরে শট মারেন বুমৌস। লাল হলুদের গোলকিপার কমলজিৎ সিংহ বলের গতির কাছে হার মেনে যান। হাত দিয়ে বল আটকানোর চেষ্টা করলেও তা পারেননি ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার।  ইস্টবেঙ্গল যদিও বা চেষ্টা করছিল দ্রুত গোলশোধ করার। কিন্তু ৬৫ মিনিটের মাথায় ফের গোল এটিকে মোহনবাগানের। এবার বল জালে জড়ান মনবীর সিংহ। ২ গোলে পিছিয়ে থেকে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি স্টিফেন কনস্টানটাইনের দল।


উল্লেখ্য়, আইএসএলে প্রথমবার কলকাতায় আয়োজিত হল ডার্বি। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এটিকে মোহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচটি। বিগত দুই মরসুমে আইএসএলে কলকাতা ডার্বি খেলা হলেও, তা ঘরের থেকে অনেকটাই দূরে, গোয়ায়া ফাঁকা গ্যালারিতে আয়োজিত হয়েছিল। তবে এখন করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তাই মাঠে ফিরেছেন দর্শকরা। আগের মতোই নিজেদের শহরে নিজেদের মাঠে ম্যাচ খেলছে দলগুলিও।


প্রথমবার আইএসএলে কলকাতায় দর্শকদের সামনে মুখোমুখি হবে দুই কলকাতা জায়ান্ট। এই ম্যাচ ঘিরে তাই স্বাভাবিকভাবেই উত্তেজনা তুঙ্গে। লাল হলুদ ও সবুজ মেরুন, উভয় দলই নিজেদের গত ম্যাচে জয় পেয়ে ভাল ফর্মে রয়েছে। শনিবার তাই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার পূর্ণ সম্ভাবনা ছিলই। অবশ্য পরিসংখ্যান কিন্তু অন্য কথা বলছিল। আইএসএলে চারটি বড় ম্যাচের প্রত্যেকটিতেই জয় পেয়েছে এটিকে মোহনবাগান। হতাশাই হাতে লেগেছে ইস্টবেঙ্গলের। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না।