লন্ডন: চার বছর আগে ভারতের ইংল্যান্ড সফরে সেভাবে ঝলসে উঠতে পারেনি বিরাট কোহলির ব্যাট। পরপর কয়েকটা ইন-সুইঙ্গার এবং তারপর এর সঙ্গে চতুর্থ স্ট্যাম্পে বাইরে বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারি এবং ওই লেংথেই পঞ্চম স্ট্যাম্পে বল। ব্যাকফুটে খেললে এ ধরনের ডেলিভারি সামলানো খুবই মুশকিল। ইংল্যান্ডের ফাস্ট বোলার জেমস আন্ডারসন গত চার বছর আগে কোহলিকে আটকে দিয়েছিলেন, এই ফর্মুলাতেই। এরফলে ভারতের পাঁচ টেস্টের সিরিজ জয়ের সম্ভাবনায় জোরাল আঘাত দিয়েছিলেন তিনি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের আগামী সিরিজে একই কৌশল ব্যবহার করে কোহলিকে ঝামেলায় ফেলতে পারেন ফর্মে থাকা ইংরেজ পেসার আন্ডারসন। এমনটাই মনে করছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন পেসার গ্লেন ম্যাকগ্রা। এবারের পরিস্থিতি ভারতীয় দলের কাছে আরও কঠিন হতে পারে বলেও মনে করছেন তিনি।
ম্যাকগ্রা বলেছেন, কোহলি এখন অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। তিনি যে বেশ উঁচুমানেরই ক্রিকেটার, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহই নেই। কিন্তু ইংল্যান্ডের পরিবেশ খুবই কঠিন। ছন্দে থাকা জিমি আন্ডারসনের মতো বোলারকে খেলা খুবই কঠিন কাজ। এর জন্য প্রচুর পরিশ্রম করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। কোহলি খুবই দক্ষ ক্রিকেটার। আমি ওই লড়াই দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছি।
চার বছর আগে ২০১৪-র সিরিজের ১০ ইনিংসের মধ্যে আন্ডারসন কোহলিকে চারবারই আউট করেছিলেন। অফ ও অফ স্ট্যাম্পে বাইরে বেরিয়ে যাওয়া বলে পরাস্ত করেছিলেন তিনি কোহলিকে। করিডর অফ আনসার্টেনিটি বলে পরিচিত ওই লেংথে বোলিং কোহলিকে খুবই সমস্যায় ফেলে দিয়েছিল। এমনটা নয় যে, আন্ডারসন ছাড়া ইংল্যান্ডের অন্য পেসারদের বিরুদ্ধে ভালো ব্যাট করেছিলেন। ওই সিরিজে তাঁর সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ৩৯ রান। সবমিলিয়ে ওই সিরিজটা ভুলেই যেতে চাইবেন কোহলি।
ম্যাকগ্রা বলেছেন, আগামী সিরিজে কোহলির ওপর নির্ভর করে থাকাটা খুবই বোকামি হবে। তিনি ব্যর্থ হলে ভারতের অন্য ব্যাটসম্যানদের চাপ সামলানোর ভূমিকা নিতে হবে।
ম্যাকগ্রার কথায়, দলের সেরা ব্যাটসম্যান পারফর্ম করবে, এমন প্রত্যাশাটা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু এ ধরনের পরিস্থিতি দলের অন্য ব্যাটসম্যানদের কাছেও একটা সুযোগ এনে দেয়। ভারতীয় দলেও বেশ কয়েকজন দক্ষ প্লেয়ার রয়েছেন। কাজেই একজনের ওপর নির্ভর করলে ভারত ভুল করবে।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজে ভূবনেশ্বর কুমার ও জসপ্রিত বুমরার মতো স্পিডস্টাররা ছাপ ফেলবেন বলে আশাবাদী ম্যাকগ্রা। তিনি বলেছেন, ওদের বলের ওপর দারুণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। ইংল্যান্ডে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক জায়গায় বল ফেলতে পারলে, সেই বোলার সফল হবেন। বল নয়, বোলারদেরই যা করার করতে হবে। পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া একজন ফাস্ট বোলারের সবচেয়ে বড় গুণ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
তিন ম্যাচের টি ২০ এবং সমসংখ্যাক ম্যাচের একদিনের সিরিজ দিয়ে ভারতের ইংল্যান্ড সফর শুরু হচ্ছে। পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু হবে ১ আগস্ট থেকে।