মেলবোর্ন: গতবার কোয়ার্টার ফাইনালে ক্যারোলিনা মুচোকোভার বিরুদ্ধে হারতে হয়েছিল। হতাশ হয়েছিলেন ঘরের মাঠে চেনা কোর্টে দাপট দেখাতে না পেরে। কিন্তু সেদিন থেকেই প্রতিজ্ঞা করছিলেন যে তিনি ফিরে আসবেন। আর ফিরে এলেনও। ঠিক এক বছর বাদেই সেই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের মঞ্চেই খেতাব বিশ্বের ১ নম্বর অ্যাশলে বার্টির। মহিলাদের টেনিসে মেলবোর্ন পেয়ে গেল নতুন রানিকে। আর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরেই প্রথম প্রতিক্রিয়াতেই বার্টি জানিয়ে দিলেন যে তাঁর সপ্ন এদিন সত্যি হয়ে গেল। ফাইনালে আমেরিকার প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে ২৫ বছর অজি টেনিস সুন্দরী বলেন, ''একজন অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে আমি আজ ভীষণ গর্বিত। এটা আমার কাছে স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো। এই দেশেরই মানুষ আমি। আমার জন্য যেভাবে গ্যালারি থেকে দর্শকরা চিৎকার করে সমর্থন করছিলেন প্রতি মুহূর্তে, তার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। তাঁরা এক কথায় অসাধারণ।''


সমর্থকদের প্রশংসা করে বার্টি আরো বলেন, ''আমি আগেও বারবার বলেছি যে আমি নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করি যে আমাকে এই মানুষগুলো এত ভালবাসেন। এতটা সমর্থন করেন আমাকে সবাই। ওঁরা আমাকে আমার সেরাটা বের করে আনতে সাহায্য করে। সবসময় উদ্বুদ্ধ করে যাতে আমি কোর্টে সেরা পারফরম্যান্সটা দিতে পারি।''


শীর্ষবাছাই অ্যাশলে বার্টি যে এবারের টুর্নামেন্টে মহিলাদের পদক জয়ের অন্যতম দবিদার তা নিয়ে কোনো সন্দেহ ছিল না। বিশেষ করে ঘরের কোর্টে এখনও পর্যন্ত একটিও গ্র্যান্ডস্লাম জিততে না পারার আফসোস কাজ করছিল। তাই ফাইনালে উঠেই জানিয়ে দিয়েছিলেন যে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য শেষ বিন্দু পর্যন্ত লড়বেন। এদিন প্রথম সেটে কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি বার্টিতে। ৬-৩ সেটে জিতে নেন। তবে দ্বিতীয় সেটে একটা সময় ৩-০ তে পিছিয়ে পড়েছিলেন বার্টি। কলিন্স দুর্দান্ত লড়াই করে ফিরে এসেছিলেন ম্যাচে। একের পর এক পয়েন্ট জিততে জিততে দ্বিতীয় সেটে ৫-১ এগিয়ে যান কলিন্স। মনে হচ্ছিল হয়তো ফাইনালেই নিজের প্রথম সেট হারবেন বার্টি। তবে সেখান থেকেই পালটা প্রত্যাঘাত শুরু করেন ২৫ বছরের অজি টেনিস সুন্দরী। আর সবার অঙ্ক বদলে ৫-৫ এর সমতায় ফেরেন। দ্বিতীয় সেট এরপর টাইব্রেকারে পৌঁছোয়। কিন্তু সেখানে আর ২৮ বছরের কলিন্সকে কোনো সুযোগই দেননি বার্টি। দ্বিতীয় সেট ৭-৬ এ জিতে ম্যাচও পকেটে পুরে নেন তিনি।