নয়াদিল্লি: আগামী ১ নভেম্বর নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি ২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচের পর অবসর নেবেন ভারতীয় দলের সিনিয়র পেসার আশিষ নেহরা। ফিরোজ শাহ কোটলায় ঘরের মাঠে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ তিনি খেলার সুযোগ পাবেন কিনা, তা স্পষ্ট নয়। কিন্তু ৩৮ বছরের পেসার কোটলা ম্যাচের পরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন।


দেশের হয়ে বিভিন্ন ফর্ম্যাটে ১৬৩ টি ম্যাচ খেলেছেন নেহরা। বর্ণময় ও ঘটনাবহুল কেরিয়ারের অনেক কথাই মনে পড়ছে তাঁর বিদায়বেলায়। কেরিয়ারে অনেক ওঠা-পড়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে বাঁহাতি এই পেসারকে।

আবেগে ভেঙে পড়ছেন না তিনি। নেহরা বলেছেন, গত ২০ টি বছর দারুন কেটেছে। আমি একেবারেই আবেগপ্রবণ নই। এখন আগামী  বছরগুলির দিকে তাকিয়ে রয়েছি। ১৯৯৭-এ দিল্লির হয়ে খেলা শুরু করার পর থেকে কেরিয়ার যেমন ঘটনাবহুল, তেমনি আগামী বছরগুলিও হবে বলে আশাবাদী।

সংবাদসংস্থাকে তিনি বলেছেন, 'কেরিয়ারে যাত্রাপথটা ছিল দুর্দান্ত। হয়ত একটা খেদ আছে। এই ২০ বছরে ২০০৩-র বিশ্বকাপের ফাইনালে জোহানেসবার্গের সেই বিকেলটা যদি বদলে দিতে পারতাম (ফাইনালে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন ভারত অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে গিয়েছিল)'।

নেহরার মতে, মহেন্দ্র সিংহ ধোনির মতোই ক্ষুরধার ক্রিকেট মস্তিষ্কের অধিকারী ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার অজয় জাদেজা।

জন রাইট কোচ থাকাকালে নেহরাকে নয়া রূপে পাওয়া গিয়েছিল। এরপর গ্রেগ চ্যাপেলের আমলে খুব একটা সাফল্য পাননি তিনি। ফের গ্যারি কার্স্টেন ও শেষে রবি শাস্ত্রীর আমলে জ্বলে উঠেছিলেন তিনি।

নেহরা বলেছেন, চ্যাপেল যখন কোচ ছিলেন তখন তিনি খুব বেশি ম্যাচ খেলেননি। ২০০৫-এ মাত্র দুটি সিরিজ খেলেছিলেন। তাঁর কথায়, 'আমার প্রথমেই মনে হয়েছিল চ্যাপেলের জমানায় বিরিয়ানি খিচুড়ি হয়ে উঠবে'।

নেহরা বলেছেন, জুনিয়রদের খুব ভালো কোচ হতে পারতেন চ্যাপেল।