নয়াদিল্লি: একবার নয়, দুবার নয়, এই নিয়ে আট আটবার। এশিয়ান কবাডি চ্যাম্পিয়নশিপে আরও একবার সেরা সেরা ভারতীয় দল। ইরানকে ফাইনালে হারিয়ে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন হল ভারত। তাদের পক্ষে ম্যাচের ফল ৪২-৩২। উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে এই টুর্নামেন্টে একবারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইরান।
এদিনের ম্যাচে ভারতের হয়ে সবচেয়ে বেশি যিনি নজর কেড়েছেন তিনি হলেন পবন শেহরাওয়াত। খেলা শুরু থেকেই ইরানের ওপর চাপ তৈরি করতে থাকেন ভারতের কবাডি প্লেয়াররা। প্রথমার্ধে দু’বার ইরানকে অল-আউট করে ২৩-১১-তে এগিয়ে গিয়েছিল ভারত। এরপর যদিও পাল্টা ভারতকে অল আউট করে ইরান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি হাসেন ভারতীয় দলের প্লেয়াররাই।
এর আগে গ্রুপ পর্বের হংকংয়ের বিরুদ্ধে ৬৪-২০ বিশাল ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল ভারত। গত ৯ বারের সংস্করণে এই নিয়ে অষ্টমবার খেতাব জয় ভারতের। এবারের গ্রুপপর্বেও সব ম্যাচ জিতেছিল ভারত। ইরানকেও তাঁরা গ্রুপ পর্বে হারায়। কিন্তু ফাইনালে সেই হারের বদলা নিতে ব্যর্থ হল ইরান দল।
আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর চিনের হ্যাংঝাউয়ে শুরু এশিয়ান গেমস। সেই টুর্নামেন্টেই সবার পাখির চোখ। এই জয় ভারতকে বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাবে।
স্কোয়াশে সোনাজয় দীপিকা-হরিন্দরের
এশিয়ান মিক্সড ডাবলস স্কোয়াশ চ্যাম্পিয়নশিপে শীর্ষস্থান বজায় রেখে সোনা জিতলেন দীপিকা পড়িক্কল ও হরিন্দরপাল সিংহ সান্ধু। চিনের হাংঝুতে অনুষ্ঠিত হওয়া এই টুর্নামেন্টে তাঁরা হারিয়ে দিলেন তৃতীয় বাছাই জুটি মালয়েশিয়ার ইভান ইউয়েন এবং রাচেল আর্নল্ডকে ২-০ ব্য়বধানে। সেমিফাইনালে পাকিস্তানের জুটিকে ছিটকে দিয়ে ফাইনালে পা রেখেছিলেন দীপিকা ও হরিন্দরপাল সিং সান্ধু। অন্য একটি খেলায় ভারতের আরেক জুটি অনাহাত সিংহ ও অভয় সিংহ ব্রোঞ্জ নিশ্চিত করেছেন। ভারত তাদের টুর্নামেন্ট শেষ করল ২টো পদক জিতে। দীপিকার সাফল্যে খুশি তাঁর স্বামী জাতীয় দলের ক্রিকেটার দীনেশ কার্তিকও। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি পোস্ট করেছেন, ''আমি ভীষণ খুশি''।
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে ব্যাঙ্কক এশিয়ান গেমসে প্রথমবার স্কোয়াশের অন্তর্ভূক্তি হয়। আর এবারের এশিয়া কাপেই প্রথমবার মিক্সড ডাবলসের অন্তর্ভূক্তি হতে চলেছে। তারই প্রস্তুতি হিসেবে এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছিল। মোট ১০টি দেশের প্রতিযোগিরা অংশ নিয়েচিল এই টুর্নামেন্টে।