জাকার্তা: প্যারিস অলিম্পিক্সের জন্য যোগ্যতা অর্জন করলেন ভারতের শ্যুটার এশা সিংহ ও বরুণ তোমার। জাকার্তায় আয়োজিত এশিয়ান কোয়ালিয়ার্সে ১০ মিটার এয়ার পিস্তল ইভেন্টে সোনা জেতেন এই ২ শ্যুটার। ১৯ বছরের এশা এই নিয়ে ৬ বছর ধরে আন্তর্জাতিক মঞ্চে শ্যুটিংয়ে নামছেন। ২০১৮ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন এই কিশোরী। অন্যদিকে ২০ বছরের বরুণ তাঁর ভাই সৌরভ চৌধুরীর থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। ২০২২ সালে জুনিয়র ন্যাশনাল দলের অংশ ছিলেন বরুণ। এশা বলছেন, ''যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচ কোনওভাবেই সহজ ছিল না। আমি যেভাবে ভেবেছিলাম তেমনটা ছিল না লড়াইটা। কিন্তু একবার ফাইনালে ওঠার পর, স্নায়ুর চাপ সামলে নিয়েছিলাম।''
এশা যোগ্যতা অর্জন পর্বে ষষ্ঠস্থান অর্জন করেছিলেন এশা। অন্য ২ ভারতীয় হৃদম সাঙ্গওয়ান ও সুরভী ভরদ্দ্বাজ তৃতীয় ও পঞ্চম স্থানে শেষ করেছেন। এশা বলছেন, ''এশিয়ান গেমস আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। এটা প্রথমবার ছিল আমার জন্য।''
এদিকে বরুণ বলছেন, ''যখন পরিবারে সৌরভের মত বিশ্বমানের শ্যুটার রয়েছে। তখন অন্য কোনওদিকে অনুপ্রেরণার জন্য তাকাতে হয় না। ও আমাকে সবসময় সাহায্য করেছে। আমাকতে সবসময় লক্ষ্যে স্থির থাকতে বলেছে সৌরভ। ও সাফল্য পাওয়ার পর আমার পরিবার চেয়েছিল আমিও যে এই খেলার প্রতি মনোনিবেশ করি। সেই মতই আমিও একই পথ বেছে নিয়েছিলাম।''
যোগ্যতা অর্জনের পর্বে শীর্ষে ছিলেন বরুণ। তিনি যোগ্যতা অর্জন পর্বে ৫৮৬ স্কোর করেছিলেন। এছাড়া অর্জুন সিংহ চিমা ছিলেন তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী। ফাইনালে বরুণ ২৩৯.৬ স্কোর করেছিলেন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন অর্জুন সিংহ চিমা। তিনি ২৩৭.৩ স্কোর করেছিলেন। বরুণ বলছেন, ''গত বছর প্রথমবার সিনিয়র দলে খেলেছিলাম আমি। আমি সেখান থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। প্যারিস অলিম্পিক্সে যোগ্যতা অর্জন করতে পারা সত্যিই দুর্দান্ত একটা অনুভূতি। তবে এটা পথ চলা শুরু। অলিম্পিক্সেই আসল লড়াই।''
উল্লেখ্য, অলিম্পিক্সের জন্য মোট ১৫জন ভারতীয় শ্যুটার যোগ্যতা অর্জন করেছেন। ২০২১ টোকিও অলিম্পিক্সেও সংখ্যাটা এমনই ছিল। আগামী কয়েকদিন সংখ্যাটা এবার আরও বাড়তে পারে।
এদিকে, ভারতের প্যারা শ্যুটার শীতল দেবী এদিন অর্জুন পুরস্কার পেলেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে পুরস্কার নেন শীতল দেবী। ২০১৯ সালে ভারতীয় আর্মি কিস্টওয়ারে একটি তিরন্দাজি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল। সেখানেই প্রথমবার শীতলকে দেখা যায়। বিশেষ ভাবে সক্ষম হলেও, লড়াকু মনোভাবের জন্য সবার মন জয় করে নেয়। ২০২২ সাল থেকে তিরন্দাজিকে কেরিয়ার হিসাবে বেছে নিয়েই জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে নেমেছিল। পদক জিতে সবার নজরে চলে আসে। এর পর আর শীতলকে ঘুরে তাকাতে হয়নি।