গুয়াহাটি: ভারতের প্রথম অ্যাথলিট হিসেবে আইএএএফ অনূর্ধ্ব ২০ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জেতার নজির গড়েছিলেন। সেই হিমা দাসকেই এবার রাজ্য পুলিশের বড় পদে বসাল অসম সরকার। তাঁকে রাজ্যের ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট পদে বসানো হয়েছে।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল তাঁর মন্ত্রীসভার বৈঠকে জুনিয়র বিশ্বচ্যাম্পিয়ন এই অ্যাথলিটকে রাজ্য পুলিশের ডিএসপি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নতুন সম্মান পেয়ে উচ্ছ্বসিত হিমা ট্যুইট করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি লেখেন, ‘এটা একটা বড় সম্মান। অসম পুলিশে যোগ দেওয়ার জন্য আমি মুখিয়ে রয়েছি। আমাকে অসম পুলিশের ডিএসপি করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল এবং হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এটা আমাকে বিরাট অনুপ্রেরণা জোগাবে। আমার রাজ্য এবং দেশের হয়ে কাজ করার জন্য আমি মুখিয়ে রয়েছি। জয় হিন্দ।‘
হিমাকে ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট পদে বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অসম সরকার। এই পদক্ষেপের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজুও। তিনি ট্যুইট করেন, ‘অনেকে জিজ্ঞেস করছেন হিমার স্পোর্টস কেরিয়ারের কী অবস্থা? তাঁদের জানাই, অলিম্পিক্সে যোগ্যতা অর্জনের জন্য হিমা এনআইএস পাতিয়ালায় প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
অসম সরকারের মুখপাত্র তথা রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রমোহন পাটোয়ারি জানিয়েছেন, রাজ্যের ক্রীড়া নীতিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। সফল ক্রীড়াবিদদের এখন থেকে পুলিশ, এক্সাইজ, পরিবহণ-সহ বিভিন্ন দফতরে নিয়োগের ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
হিমাই প্রথম ভারতীয় হিসেবে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে কোনও বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ থেকে সোনা জেতেন। ২০১৮ সালে অনূর্ধ্ব ২০ বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে তিনি ৪০০ মিটার দৌড়ে স্বর্ণপদক জেতেন। ৫১.৪৬ সেকেন্ড সময় করেছিলেন তিনি। হিমাকে ডিএসপি করার পাশাপাশি রাজ্যের ক্রীড়ানীতিতেও বদল আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, এবার থেকে রাজ্যের ক্রীড়াবিদদের ক্লাস-ওয়ান এবং ক্লাস-টু অফিসার পদে নিয়োগ করা হবে।
হিমা দাসকে ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসার হিসেবে পুলিশে নিয়োগপত্র দেওয়া হচ্ছে। অসমের ক্রীড়াবিদরা অলিম্পিক্স, কমনওয়েলথ গেমস, এশিয়ান গেমসে পদক জিতলে তাঁদের ক্লাস ওয়ান অফিসার হিসেবে সরকারি চাকরি দেবে বলে জানিয়েছে অসম সরকার। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে পদকজয়ীদের ক্লাস টু সিনিয়র অফিসার পদে নিয়োগ করা হবে।