কলকাতা: ডুরান্ড কাপের (Durand Cup) ডার্বিতে জিতলেও নক আউট পর্ব এখনও নিশ্চিত হয়নি এটিকে মোহনবাগানের (ATK Mohunbagan)। এখনও একটি ম্যাচ বাকি। তবে এর মধ্যেই জানা গেল, আগামী সপ্তাহে এএফসি কাপ সেমিফাইনালে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী কারা হতে চলেছে। 


আগামী ৭ সেপ্টেম্বর ঘরের মাঠ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনেই এটিকে মোহনবাগান এশীয় মঞ্চে সফল হওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে নামবে মালয়েশিয়ার কুয়ালা লামপুর সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে। চলতি এশিয়া কাপের ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালের যে ক্রীড়াসূচি প্রকাশ করেছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি), তাতে এটাই স্পষ্ট। কলকাতার ক্লাবের সমর্থকেরা আগেই জেনে গিয়েছেন যে, ম্যাচটি কলকাতায় হবে। এ বার প্রতিপক্ষের নামও জানা গেল।


প্রসঙ্গত, এটিকে মোহনবাগান এ বারের এএফসি কাপের বাছাই পর্ব ও গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলিও কলকাতায় খেলেছে।  গত এপ্রিলে তারা শ্রীলঙ্কার ব্লু স্টার ও ঢাকার আবাহনী লিমিটেডকে হারিয়ে গ্রুপ পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। মে মাসে গ্রুপ পর্বে তারা গোকুলম কেরালা এফসি-র কাছে ২-৪-এ হারলেও বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসকে ৪-০ ও মলদ্বীপের মাজিয়া এসআর-কে ৫-২-এ হারিয়ে ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালে ওঠে।


আসিয়ান জোনের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে এটিকে মোহনবাগানের মুখোমুখি হতে চলেছে কুয়ালা লামপুর সিটি (কেএলসি)। এই জোনের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে ছিল আরও তিনটি দল। ভিয়েতনামের ভিয়েট্টেল এফসি, ইন্দোনেশিয়ার পিএসএম মাকাসার এবং মালয়েশিয়ার কেদা দারুল অমন এফসি। এদের পিছনে ফেলে আসিয়ান জোনের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালে সবুজ-মেরুন বাহিনীর মুখোমুখি হতে চলেছে কেএলসি।


আসিয়ান জোন ফাইনালে তারা ইন্দোনেশিয়ার পিএসএম মাকাসারকে ৫-২-এ হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। রোমেল মোরালেস গোলের খাতা খোলার পরে জোড়া গোল করেন জর্ডান মিন্টা। দলের ব্রাজিলীয় তারকা পাওলো জোসু ও হাডিন আজমান ম্যাচের শেষ দিকে বাকি দু’টি গোল করেন পেনাল্টি থেকে। আগাগোড়া আধিপত্য বিস্তার করা এই ম্যাচে কেএলসি ন’টি শট গোলে রাখে। ইন্দোনেশিয়ার দলটি তিনটির বেশি শট গোলে রাখতে পারেনি। বল দখলেও এগিয়ে ছিল কেএলসি (৫৪-৪৬)।


দু’বার মালয়শিয়ান লিগ জিতেছে এই ক্লাব। দেশের মাটিতে তারা এফএ কাপ ও চ্যারিটি শিল্ড জিতেছে তিনবার করে। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও দু’বার অংশ নিয়েছে তারা। দলের কোচ ক্রোয়েশিয়ার বোজান হোডাক ও অধিনায়ক ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড পাওলো জোসু।


ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালের অপর ম্যাচে মুখোমুখি হবে হংকংয়ের ইস্টার্ন এসসি ও সেন্ট্রাল জোনের চ্যাম্পিয়ন উজবেকিস্তানের পিএফসি সোগদিয়ানা। কেএলসি-কে হারাতে পারলে এদেরই যে কোনও একটি দলের বিরুদ্ধে খেলতে হবে সবুজ-মেরুন শিবিরকে। সেই ম্যাচ হওয়ার কথা ৫ অক্টোবর এবং এ বারের এএফসি কাপ ফাইনাল হওয়ার কথা ২২ অক্টোবর। অর্থাৎ, ফাইনালে উঠে ইতিহাস গড়তে এটিকে মোহনবাগানকে আরও দু’টি কঠিন ধাপ পেরোতে হবে।


আরও পড়ুন: ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জেতাচ্ছেন, হার্দিক যেন ধোনির প্রতিচ্ছবি