পারথ: আইপিএলের আর মাস দেড়েক বাকি। তার আগে কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR) শিবিরে স্বস্তি দেবে দলের সেরা অলরাউন্ডারের বিধ্বংসী ফর্ম।
আন্দ্রে রাসেল। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের জন্য যাঁকে বলা হয় মাসল রাসেল। কলকাতা নাইট রাইডার্সের অন্যতম সেরা অস্ত্র। পারথে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ২৯ বলে ৭১ রানের খুনে মেজাজের ইনিংস খেললেন। সেই সঙ্গে গড়লেন এক রেকর্ডও। শেন রাদারফোর্ডের সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে ১৩৯ রান যোগ করলেন রাসেল। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যা সর্বোচ্চ।
ম্যাচের একটা সময় ৮.৪ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ছিল পাঁচ উইকেটে ৭৯ রান। সেখান থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ২২০ রান তুলেছিল।
আরও একটি রেকর্ড গড়লেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ব্যাটার। আন্তর্জাতিক টি টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে এই প্রথমবার ছয় এবং সাত নম্বর দুই ব্যাটার উভয়েই একটি টি-টোয়েন্টি ইনিংসে অর্ধশতক করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে, ২০১০ সালে, ক্যামেরন হোয়াইট এবং মাইক হাসি ষষ্ঠ উইকেটে ১০১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছিলেন। এবারে রাসেল ও রাদারফোর্ডের জুটি স্কোর বোর্ডে ১৩৯ রান যোগ করেন। রাদারফোর্ড চল্লিশ বলে অপরাজিত ৬৭ রান করেন। তিনি পাঁচটি চার ও পাঁচটি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। এই সময়ে আন্দ্রে রাসেল ২৯ বলে ৭১ রান করেন। তিনি নিজের ইনিংসে চারটি বাউন্ডারি ও সাতটি ছক্কা হাঁকান।
পারথে মঙ্গলবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ৩৭ রানের জয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়াল ক্যারিবিয়ানরা। ২২০ রানের পুঁজি গড়ে প্রতিপক্ষকে ১৮৩ রানে থামিয়ে দেয় তারা। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে তিন টি-টোয়েন্টির সিরিজটি আগেই নিশ্চিত করে ফেলে অস্ট্রেলিয়া।
রাসেল ও রাদারফোর্ডের নৈপুণ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের করা ২২০ রান অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে দলটির সর্বোচ্চ। আগের সেরা এই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে করা ২০৭ রান। বিশাল রান তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়াকে লড়াইয়ে রেখেছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। তিনি ৩ ছক্কা ও ৯ চারে ৪৯ বলে ৮১ রান করেন। এই ইনিংসের পথে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টি-টোয়েন্টিতে ৩ হাজার রান (৩ হাজার ৬৭) স্পর্শ করেন বাঁহাতি ওপেনার। পরে ৪ ছক্কা ও ২ চারে ১৯ বলে ৪১ রান করেন ডেভিড।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।