ধর্মশালা: অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সদ্যসমাপ্ত টেস্ট সিরিজে মাঠে ও মাঠের বাইরে বিপক্ষ শিবিরের বেনজির আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে। মাঠে স্মিথ-বাহিনীর স্লেজিং তো ছিলই, মাঠের বাইরে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার ও মিডিয়ার ধারাবাহিক নিশানা হয়েছিলেন ভারতেন রান মেশিন। সিরিজ শেষে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় কোহলি জানিয়ে দিলেন, তিনি আর অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটারদের বন্ধু বলে মনে করেন না।


সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ডিআরএস বিতর্ক নিয়ে দুই শিবিরের চাপানউতোর চরমে উঠেছিল। রেফারেল নিতে গিয়ে নিয়মবিরুদ্ধভাবে ড্রেসিংরুমের সাহায্য চেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। মাঠেই এর প্রতিবাদ করেছিলেন কোহলি। ম্যাচের শেষে তিনি স্মিথকে কার্যত প্রতারক বলেছিলেন।

স্মিথ ভুলস্বীকার করে নিলেও কোহলিকে আক্রমণ করতে পিছপা হননি অস্ট্রেলিয়ার অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটারই। সেই সঙ্গে মিডিয়াও। মিডিয়া তো কোহলিকে খেলার দুনিয়ার ডোনাল্ড ট্রাম্প আখ্যা দেয়। আরও আশ্চর্যের ব্যাপার, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান জেমস সাদারল্যান্ডও আসরে নেমে পড়েন। তিনি বলে বসেন, কোহলি সরি শব্দের বানানটাও হয়ত জানেন না।

ধর্মশালায় ম্যাচের পর অসি সাংবাদিকরা কোহলিকে প্রশ্ন করেন যে, এখনও স্মিথ বাহিনীকে তাঁর বন্ধু বলে মনে করেন কিনা। এর জবাব কোনওরকম রাখঢাক না করেই দিয়েছেন কোহলি। তিনি বলেছেন, ‘না, ধারনা সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে। আমি ভেবেছিলাম, এমনটাই হবে, কিন্তু এখন ধারনা বদলে গিয়েছে। প্রথম টেস্টের আগে বলেছিলাম, মাঠে খেলার মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে উত্তাপ ছড়াবে। পরে সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু আমি ভুল প্রমাণিত হয়েছি। আমাকে আর কোনওদিন এমন কথা বলতে শুনতে পাবেন না।

চলতি সিরিজে অসি ক্রিকেটারদের কোহলির কাঁধের চোট নিয়ে হাসিতামাশা করতে দেখা গিয়েছে। গতকাল স্মিথ তো অশ্লীল ভাষায় মুরলী বিজয়কে গালিগালাজ করে চিট বলেছিলেন।

স্মিথ ক্ষমা চেয়েছেন। কিন্তু কোহলি যে অসিদের আচরণে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ তা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।