দোহা: কলম্বিয়ার কিংবদন্তী প্রাক্তন গোলরক্ষক হিগুয়েতার কথা সবার জানা। তিনি তাঁর অদ্ভূত শারীরিক ক্ষমতায় গোল সেভ করতেন পোস্টের নিচে দাঁড়িয়ে। কখনও কখনও তো মাঝমাঠে বল পায়েও কারুকার্য দেখাতেন। কিন্তু গতকালের পর থেকে অ্যান্ড্রু রেডমেনের (Andrew Redmayne) কথাও ফুটবল প্রেমী মানুষরা জেনে গিয়েছেন। মঙ্গলবারই পেরুকে টাইব্রেকারে হারিয়ে টানা পাঁচবার বিশ্বকাপ ফুটবলের (World Cup Football) মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে অস্ট্রেলিয়া। আর তার সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব প্রাপ্য অস্ট্রেলিয়ার (Australia) ড্যান্সিং গোলরক্ষক (Dancing Goalkeeper) রেডমেনের। 


ড্যান্সিং গোলরক্ষক কেন বলা হয়?
তেকাঠির নিচে দাঁড়িয়ে সবসময় নড়াচড়া করতে থাকেন রেডমেন। বিশেষ করে টাইব্রেকার বা পেনাল্টির সময় যখন একজন ফুটবলারের নজর থাকে সেই গোলের জালির দিকে, তখনই তিনি তাঁর লক্ষ্যভ্রষ্ট করে দেওয়ার জন্য এই ধরনের পন্থা অবলম্বন করেন। রীতিমত হাত-পা ছুড়তে থাকেন গোললাইনে দাঁড়িয়ে। দেখে মনে হবে যেন তিনি নাচছেন। আর সেভাবেই গোলও বাঁচিয়ে দেন। অস্ট্রেলিয়া ফুটবল দলে পেনাল্টি বাঁচানোর জন্য বিশেষজ্ঞ হিসেবেই পরিচিত রেডমেন। 


অজি কোচের চাল ও রেডম্যানের দুরন্ত সেভ
দোহাতে পেরুর বিরুদ্ধে নির্ধারিত সময়ের খেলা গোলশূন্য ছিল। অতিরিক্ত সময়ও কোনও দলই গোল করতে পারেনি। টাইব্রেকারের জন্য বাঁশি বাজার ঠিক কিছুক্ষণ আগেই অস্ট্রেলিয়া ফুটবল দলের কোচ গ্রাহাম আর্নল্ড মোক্ষম স্ট্র্যাটেজি নেন। দলের অধিনায়ক ও নিয়মিত গোলরক্ষক ম্যাথু রেইনকে বসিয়ে তাঁর বদলে মাঠে নামান অ্যান্ড্রু রেডমেনকে। 


যদিও টাইব্রেকারে প্রথম গোলটি করতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ার মার্টিন বয়লি। তবে বাকি চারটে শটে অস্ট্রেলিয়ার কোনও ফুটবলারই গোল মিস করেননি। কিন্তু পেরুর দুটো শট আটকে দেন রেডমেন। আর হয়ে যান ম্যাচের নায়ক। 


আগামী ২১ নভেম্বর থেকে শুরু ফুটবল বিশ্বকাপ। আর তার পরের দিনই গ্রুপ ডি-র লড়াইয়ে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের বিরুদ্ধে নিজেদের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে অস্ট্রেলিয়া। 


আরও পড়ুন: প্রথমবার ফুটবল বিশ্বকাপের মঞ্চে এশিয়ার ৬টি দেশ