মেলবোর্ন: কাল অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে মহিলাদের সিঙ্গলসের ফাইনাল। অ্যাশ বার্টির মুখোমুখি হচ্ছেন ড্যানিয়েলা কলিনস। এই প্রথম গ্র্যান্ডস্ল্যামের ফাইনালে উঠেছেন ২৭ তম বাছাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খেলোয়াড় কলিনস। তিনি সেমি-ফাইনালে স্ট্রেট সেটে হারিয়ে দিয়েছেন সপ্তম বাছাই পোল্যান্ডের ২০ বছরের ইগা স্বিয়াটেককে। ম্যাচের ফল ৬-৪, ৬-১। অন্যদিকে, ৪২ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে উঠেছেন বার্টি। উইম্বনডন চ্যাম্পিয়ন এই খেলোয়াড় সেমি-ফাইনালে স্ট্রেট সেটে হারিয়ে দিয়েছেন অবাছাই মার্কিন খেলোয়াড় ম্যাডিসন কিইজকে। ম্যাচের ফল ৬-১, ৬-৩।
১৯৭৮ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন ক্রিস্টিন ও’নিল। তারপর এই প্রথম অস্ট্রেলিয়ার কোনও পুরুষ বা মহিলা খেলোয়াড় অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে উঠলেন। বার্টি গত বছর উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আগে ২০১৯-এ ফ্রেঞ্চ ওপেন জেতেন। এবার ঘরের মাঠে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতাই তাঁর লক্ষ্য। অস্ট্রেলিয়ানরা তাঁর উপরেই বাজি ধরছেন।
তবে ফাইনালে বার্টির লড়াই সহজ না-ও হতে পারে। কারণ, কলিনস ভাল ফর্মে আছেন। তিনি সেমি-ফাইনালে ২০২০ সালের ফ্রেঞ্চ ওপেন চ্যাম্পিয়ন স্বিয়াটেককে ভালভাবেই হারিয়ে দিয়েছেন। প্রথমবার গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে ওঠার কলিনস বলেছেন, ‘প্রথমবার গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে উঠে অসাধারণ লাগছে। রাতারাতি এটা হয়নি। এর জন্য আমাকে অনেকটা পথ চলতে হয়েছে। এক বছরও হয়নি আমার অস্ত্রোপচার হয়েছে। স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ ছিল। কঠিন সময় পেরিয়ে আসতে পেরেছি।’
বার্টি বলেছেন, ‘আমি অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে উঠেছি, এটা এখনও অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে আমরা ছোটবেলা থেকেই গর্ব করি যে আমাদের দেশে গ্র্যান্ডস্ল্যাম হয়। এবার আমাদের সামনেই খেতাব জয়ের সুযোগ আছে।’
সম্প্রতি দুর্দান্ত ফর্মে আছেন বার্টি। এ বছর তিনি ১০টি ম্যাচ খেলে প্রতিটিই জিতেছেন। ফাইনালেও জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী তিনি।
এবারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে প্রথম ৬টি ম্যাচে একটি সেটও খোয়াননি বার্টি। প্রতিপক্ষরা খেলোয়াড়রা মাত্র ২১টি গেম জিততে পেরেছেন। এই ফর্মই ফাইনালে তাঁর সবচেয়ে বড় ভরসা।