মেলবোর্ন: অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছেন রাফায়েল নাদাল। ২১ তম গ্র্যান্ডস্লাম জয়ের থেকে আর মাত্র এক ম্যাচ দূরে তিনি। যেই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের কোর্টে নোভাক জকোভিচের (novak djokovic) আধিপত্য, সেখানেই এবার আরও একটি খেতাব জয়ের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে নাদাল (rafael nadal)। ২০০৯ সালের পর প্রথমবার রড লেভার এরিনায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ। আর নাদালে সাফল্যে বেজায় খুশি কিংবদন্তী জন ম্যাকেনরো। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ''এই ছেলেরা অসাধারণ। দুর্দান্ত টেনিস খেলছে সবাই। ইতিহাস গড়েই চলেছে। জকোভিচ যখন এখানে খেলা শুরু করেছিলেন। তখন একের পর এক ম্যাচ জিতে ইতিহাস গড়ছিলেন। আমরা সবাই ওকে নিয়েই কথা বলছিলাম। কীভাবে ও রেকর্ড গড়ে চলেছে, তা নিয়ে।''


কিছুদিন আগে পর্যন্তও ঠিক ছিল না যে আদৌ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলতে দেখা যাবে কি না নাদালকে। কারণ চোটের জন্য অনিশ্চিত ছিলেন তিনি। সেখান থেকে আজকের ফাইনালে ওঠা। ম্যাকেনরো বলছেন, ''সবাই শুধু অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে জকোভিচকে নিয়েই কথা বলেছে। কিন্তু সবাই ভুলেই গিয়েছিল রাফায়েল নাদালের কথা। সবাই ভুলে গিয়েছিল যে নাদাল গত ৬ মাসে কোনো ম্যাচ খেলতে পারেনি চোটের জন্য।'' এর আগে রজার ফেডেরার এমন একজন যে চোট সারিয়ে এসে গ্র্যান্ডাস্লাম জিতেছিল।


উল্লেখ্য, শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে পৌঁছে গেলেন রাফায়েল নাদাল (rafael nadal)। ইতালির মাত্তেও বেরেত্তিনিকে (matteo berrettini) হারিয়ে টুর্নামেন্টের ফাইনালে পৌঁছে গেলেন স্প্যানিশ টেনিস সুপারস্টার। টুর্নামেন্টের ষষ্ঠ বাছাই নাদাল ২ ঘণ্টা ৫৫ মিনিটের কঠিন লড়াই শেষে ৬-৩, ৬-২, ৩-৬, ৬-৩ সেটে জয় ছিনিয়ে নিলেন। আর মাত্র একটি জয়, তাহলেই পুরুষদের টেনিসে সর্বাধিক গ্র্যান্ডস্লামের মালিক হয়ে যাবেন ৩৫ বছরের নাদাল। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ''অসাধারণ একটা ইভেন্ট। ফাইনালে জয় ছাড়া কিছু ভাবছি না। আমি আমার কেরিয়ারে কিছু চোট আঘাতের সম্মুখিন হয়েছি। এই কোর্টে খুব একটা ভাল সময় কাটেনি আমার। ২০১২ সালে নোভাকের বিরুদ্ধে ও ২০১৭ সালে ফেডেরারের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত ফাইনাল হয়েছিল। খুব ক্লোজ ছিলাম আমি ম্যাচ দুটোর। কিন্তু জিততে পারিনি। এবার তাই আর অন্য় কিছু ভাবছিই না।''