মুম্বই: গ্রুপ লিগে পাঁচ নম্বরে থেকে বিশ্বকাপ (ODI World Cup) অভিযান শেষ করেছে পাকিস্তান (Pakistan Cricket Team)। নিজে ব্যাট হাতেও ফর্মে ছিলেন না বাবর আজম। চাপ বাড়ছিল তাঁর ওপর। এবার নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন বাবর। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের তিন ফর্ম্যাটেই নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ওয়ান ডে ক্রমতালিকায় শীর্ষে থেকে বিশ্বকাপ খেলতে নেমেছিল পাক শিবির। সেখান থেকে টুর্নামেন্টে শেষ চারের টিকিটই জোগার করতে পারেনি পাক শিবির। পাক সমর্থকদের মধ্যেই বাবরের অধিনায়কত্ব নিয়ে অশান্তি বাড়ছিল। অবশেষে তিন ফর্ম্যাটের দায়িত্ব থেকেই সরে দাঁড়ালেন তিনি।
অধিনায়কত্ব থেকে পদত্যাগ প্রসঙ্গে নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় বাবর লেখেন, ''তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটে পাকিস্তানের নেতৃত্ব ছাড়ছি আমি। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া খুব কঠিন ছিল, কিন্তু আমার মনে হয় এটাই সঠিক সময়। নেতৃত্ব ছাড়লেও আমি পাকিস্তানের হয়ে তিন ফরম্যাটেই ক্রিকেট খেলব। নতুন অধিনায়ককে সব রকম সাহায্য করব। আমার সব অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেব তাঁর সঙ্গে। ২০১৯ সালে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের তরফে আমাকে ফোন করা হয়। সেই ঘটনার কথা আমার স্পষ্ট মনে আছে। আমাকে এরপরই অধিনায় করা হয়। চার বছর ধরে আমি নেতৃত্ব দিয়েছি। মাঠে এবং মাঠের বাইরে অনেক ভাল এবং খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। সব সময় চেষ্টা করেছি ক্রিকেট বিশ্বে পাকিস্তানকে গর্বিত করতে।''
এই বিশ্বকাপে ৯ ম্যাচ খেলে মোট ৩২০ রান করেছিলেন বাবর। ৪০ এর মত গড় নিয়ে ব্যাটিং করেছিলেন পাকিস্তানের ডানহাতি এই ব্যাটার। ২০১৯ সালে অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর পাকিস্তানকে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে তুলেছিলেন বাবর। ২০২৩ বিশ্বকাপে শীর্ষ দল হিসেবে খেলতে গিয়ে মাত্র চারটি ম্যাচে জয়ের দেখা পেয়েছে পাকিস্তান। একবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল খেললেও এ সময়ে পাকিস্তান কোন শিরোপা জিততে পারেনি।
বিশ্বকাপের মাঝেই দলের প্রধান পেসার শাহিন আফ্রিদির সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের সমীকরণ নিয়েও অনেক প্রশ্ন উঠেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত কে এবার পাক দলের অধিনায়ক হন সেটাই এখন দেখার।