চট্টগ্রাম: মাত্র ৪৫ রানের মাথায় ৬ উইকেট পড়ে গিয়েছিল দলের। কিন্তু সেখান থেকেই সপ্তম উইকেটে রেকর্ড ১৭৪ রানের পার্টনারশিপ। আর তাতেই কেল্লাফতে। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচে দুর্দান্ত জয় ছিনিয়ে নিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। জয়ের অন্যতম কারিগর মেহদি হাসান ও আফিফ হোসেন। ২ জনেই পার্টনারশিপ গড়ে দেশকে জয় এনে দেন আফগানদের বিরুদ্ধে।


চট্টগ্রামে প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচে এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আফগানিস্তান। ওপেনিংয়ে গুরবাজ ও ইব্রাহিম কেউই বড় রান তুলতে পারেননি। আফাগান শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর। আফগানিস্তানের ব্য়াটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেন নাজিবুল্লাহ। শেষ পর্যন্ত ৪৯.১ ওভারে ২১৫ রানে অল আউট হয়ে যায় আফগানিস্তানের ইনিংস। বাংলাদেশ বােলারদের মধ্যে সর্বাধিক ৩ উইকেট নেন মুস্তাফিজুর। ২ টো করে উইকেট নেন মাহমুদুল্লাহ, শাকিব উল হাসান ও শরিফুল ইসলাম। জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তনেই বল হাতে ভেলকি দেখালেন বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার শাকিব।


জবাবে ব্যাট করতে নেমে টাইগারদের টপ অর্ডার চরম ব্যর্থতার মধ্যে পড়ে। একের পর এক তামিম ইকবাল, লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম, শাকিব আল হাসানরা ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। ইয়াসির আলি ও মাহমুদুল্লাহও রান পাননি। একটা সময় বাংলাদেশের স্কোর ছিল ১১.২ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৪৫। সেখান থেকে অনবদ্য পার্টনারশিপ আফিফ হোসেন ও মেহদি হাসানের। আফিফ ৯৩ রানে অপরাজিত থেকে যান। অন্যদিকে মেহদি ৮১ রানে অপরাজিত থেকে যান। ২ জনে মিলে সপ্তম উইকেটে বাংলাদেশের ক্রিকেটের ইতিহাসে ওয়ান ডে ফর্ম্য়াটে সর্বাধিক ১৭৪ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন।


শেষ পর্যন্ত ৪৮.৫ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়েই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় বাংলাদেশ। আফিফ নিজের ইনিংসে ১১টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান। অন্যদিকে মেহদি নিজের ইনিংসে ৯টি বাউন্ডারি হাঁকান। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন মেহদি হাসান মিরাজ।