মীরপুর: লক্ষ্য মাত্র ১৩৭ রান। আর সেই রান তাড়া করতে গিয়েই এক সময় নিউজ়িল্যান্ডের স্কোর দাঁড়াল ৬৯/৬। ড্রেসিংরুমে ফিরে গিয়েছেন টম ল্যাথাম, ডেভন কনওয়ে, কেন উইলিয়ামসন, হেনরি নিকোলস, ডারিল মিচেল ও টম ব্লান্ডেল। অনেকে তখন বলাবলি করছেন, এই লক্ষ্য যেন দুর্ভেদ্য মনে হচ্ছে। ১৩৭ নয়, নিউজ়িল্যান্ড যেন তখন ২৩৭ রান তাড়া করতে নেমেছে (NZ vs BAN)।
তবে কেন বলা হয় ক্রিকেট মহান অনিশ্চয়তার খেলা, তা ফের একবার প্রমাণ হয়ে গেল শনিবার। ৬৯/৬ থেকে আর কোনও উইকেট না হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে গেল ব্ল্যাক ক্যাপস বাহিনি। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে বাংলাদেশকে (Bangladesh Cricket Team) ৪ উইকেটে হারিয়ে টেস্ট সিরিজে সমতা ফেরাল নিউজ়িল্যান্ড। ১-১ ব্যবধানে শেষ হল টেস্ট সিরিজ।
প্রথম টেস্টে জিতে সিরিজে ১-০ এগিয়ে গিয়েছিলেন নাজমুল হাসান শান্তরা। মিচেল স্যান্টনার ও গ্লেন ফিলিপ্স অবিচ্ছেদ্য সপ্তম উইকেটে ৭০ রান যোগ করেন। এই পার্টনারশিপই ম্যাচের সর্বোচ্চ। গোটা ম্যাচে দাপট দেখিয়েছেন স্পিনাররা। চারটি ইনিংসে কোনও দল দুশো রানও পার করতে পারেনি।
দিনের নায়ক আজাজ় পটেল। যিনি বল হাতে ৬ উইকেট নেন। তাঁর দাপটেই মাত্র ১৪৪ রানে শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। নিউজ়িল্যান্ডের সামনে ১৩৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা দিয়ে। ধরেই নেওয়া হয়েছিল যে, রান তাড়া করা এই পিচে খুব একটা সহজ হবে না। সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়। মাত্র ৬৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে নিউজ়িল্যান্ড। তারপরই ব্যাট হাতে রুখে দাঁড়ান গ্লেন ফিলিপ্স। যিনি প্রথম ইনিংসেও ৮৭ রান করেছিলেন। সেটাই ম্য়াচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করেন মিচেল স্যান্টনার। বাঁহাতি স্পিনার যে ব্যাট হাতেও যথেষ্ট দক্ষ, বারবার তা প্রমাণ করেছেন। শনিবার ফের একবার তা দেখিয়ে দিলেন স্যান্টনার। ফিলিপ্স ৪৮ বলে ৪০ রানে এবং স্যান্টনার ৩৯ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। মাত্র ১৭৮.১ ওভারে শেষ হয়ে গেল ম্যাচ।
গ্লেন ফিলিপ্সই ম্য়াচের সেরা হয়েছেন। সিরিজের সেরা হয়েছেন তাইজুল ইসলাম। যাঁর গলায় আক্ষেপ। বলেছেন, 'ম্যাচটা জিতে সিরিজ জিততে পারলে দারুণ লাগত। আমরা দ্বিতীয় ইনিংসে আরও ভাল বল করতে পারতাম।'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।